সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক ইন্টার্ন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রোগীর স্বজনকে (কিশোরী) ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাকামে মাহমুদকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার ভোর রাতে হাসপাতালের তৃতীয় তলার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মাকামে মাহমুদ ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা এলাকার মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেলের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, নগরের বনকলা পাড়ার বাসিন্দার রোগীর সঙ্গে আসেন ওই নারী। ভিকটিম তার নানিকে নিয়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ছিল। সেই ওয়ার্ডে চিকিৎসক না থাকায় রোগীর নাতনি ভোর রাত ৩টার দিকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে হাসপাতালের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ইন্টার্ন চিকিৎসকের কক্ষে যান। এ সময় মাকামে মাহমুদ তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে হাসপাতালে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে সকাল ৮টার দিকে মেয়ের বাবা-মা ওসমানী মেডিকেলের পরিচালকের কাছে চিকিৎসক মাকামে মাহমুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এরপর হাসপাতালের চিকিৎসক, পুলিশ ও ভিকটিমের স্বজনদের মধ্যে বৈঠক হয়। বেলা দেড়টা পর্যন্ত বৈঠক চলে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ইন্টার্ন চিকিৎসককে পুলিশে সোপর্দ করে। কোতোয়ালি থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার গোলাম কাউসার দস্তগীর বলেন, ‘মাকামে মাহমুদকে আটক করা হয়েছে। ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ভিকটিমকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

"