ক্রীড়া ডেস্ক
রাষ্ট্রনায়কদের ফাইনাল উপভোগ
অবশেষে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পর্দা নামল ফুটবল বিশ্বকাপের ২১তম আসরের। মস্কোর লুঝনিকির শিরোপা যুদ্ধে পরশু মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়া। ফাইনালে দুই দলকে উৎসাহে মাঠে উপস্থিত হয়েছিলেন হাজার হাজার সমর্থক। উপস্থিত ছিলেন দুই দেশের সাবেক ফুটবলাররা। তেমনি উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট কলিন্দা গ্রাবার কিতারোভিচ। ছিলেন আয়োজক দেশ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। তিন প্রেসিডেন্টই ভিআইপি গ্যালারিতে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর পাশে উপভোগ করেছেন ফ্রান্স বনাম ক্রোয়েশিয়ার রোমাঞ্চকর ফাইনাল ম্যাচ। এই সময় তারা সমর্থকদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে উৎসাহ দিয়ে গেছেন লুকা মডরিচ ও আঁতোয়ান গ্রিজম্যানদের। প্রতিটি গোলের পর হাত মিলিয়ে একে অপর প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বৃষ্টিভেজা ফাইনালটি খেলোয়াড় ও সমর্থকদের পাশাপাশি ম্যাক্রোঁ এবং কিতারোভিচকে হাসিয়েছে, কাঁদিয়েছে। একদিকে দুই দশক পর ফরাসিদের শিরোপা উদ্ধার ও অন্যদিকে ক্রোয়াটদের প্রথম শিরোপা জয়ের স্বপ্ন। কিন্তু পরশু ক্রোয়েশিয়ার বুক ভেঙে শিরোপা উৎসব করেছে দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা। লুঝনিকির ফাইনালে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিভিন্ন দেশের ১০ জন রাষ্ট্রনায়কের। একসঙ্গে বসে সমাপনী অনুষ্ঠান পুতিনি, ম্যাক্রোঁ, কিতারোভিচের পাশাপাশি খেলা দেখার কথা ছিল আর্মেনিয়ার প্রেসিডেন্ট আরমেন সারকিসয়ান, বেলারুশ প্রেসিডেন্ট আলেক্সন্ডার লুকাশেনকা, গ্যাবনের প্রেসিডেন্ট আলি বোনগো অনদিম্বা, মলদোভার প্রেসিডেন্ট ইগোর দোদন, ফিলিস্তিনের মাহমুদ আব্বাস, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ থানি এবং সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির। আর প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নির্বাচিত ফিফার কাউন্টিস মেম্বার মাহফুজা আক্তার কিরণসহ ফিফার নির্বাহী কমিটির সদস্যরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে পরশু টিভি ক্যামেরা বারবার খুঁজে ফিরেছে ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্টকে। ম্যাচের রঙ পাল্টানোর পাশাপাশি দুই রাষ্ট্রনায়কের মুখেও দেখা গেছে আনন্দ-বেদনার ছাপ। তবে ম্যাচ শেষে হাসিটা চওড়া হয়েছে ম্যাক্রোঁর মুখে। হারলেও কিতারোভিচ মাতৃ ¯েœহে গলায় জড়িয়ে নিয়েছেন দুই দেশের খেলোয়াড়দের। মডরিচ-ইভান রাকিটিচ, মারিও মানজুকিচদের সান্ত¦না দেওয়ার পাশাপাশি অভিনন্দন জানিয়েছেন গ্রিজম্যান, কিলিয়ান এমবাপ্পে, রাফায়েল ভারানেদের।
ফুটবলার ও কোচদের পাশাপাশি রাশিয়া বিশ্বকাপের সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন ক্রোয়াট প্রেসিডেন্ট কিতারোভিচ। নজরকাড়া সৌন্দর্য, অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, আধুনিক মনন ও স্মার্টনেস দিয়ে বারবার ক্যামরাটা ঘুরিয়ে নিয়েছেন নিজের দিকে। বয়স ৫০ হলেও এখনো তার হাসিমাখা মুখ যেকোনো ত্রিশোর্ধ্ব নারীকেই হার মানায়। খেলা পাগল এই প্রেসিডেন্ট কোচ জøাতকো দালিচের দলে ছিলেন ১২তম সদস্যও। কারণ মাঠে ও ড্রেসিংরুমে তার উপস্থিতি।
কিতারোভিচের মতো ফ্রান্সের প্রতিটি ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন না ফরাসি তরুণ প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। তবে ফাইনালে ঠিকই দলকে উৎসাহ দিতে উপস্থিত ছিলেন তিনি। ভারানে, গ্রিজম্যানদের সঙ্গে করেছেন শিরোপা উৎসবও।
"