মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফাঁসলেন এসআই!
ইয়াবা দিয়ে হাসেম আলী নামের এক দিনমজুরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করার কারণে দুই পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন গ্রামবাসী। মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের ছোট কালিয়াকৈর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে ওই দুজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সিঙ্গাইর থানার এসআই মানিক ও কনস্টেবল জাহিদ মোটরসাইকেলে করে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ছোট কালিয়াকৈর নতুন বাজার এলাকায় যায়। বাজারের কহিনুর ইসলামের কসমেটিকের দোকানের সামনে থেকে সাদা শার্ট ও লুঙ্গি পরা দিনমজুর হাসেম আলীকে ধরে তার পকেটে দুটি ইয়াবা ঢুকিয়ে দিয়ে তাকে হ্যান্ডকাফ পরায়।
সেখানে উপস্থিত এলাকাবাসী প্রতিবাদ করে এবং এক পর্যায়ে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে। উত্তেজিত জনতা তাদেরকে মারতে উদ্যত হলে বলধরা ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য ইদ্রিস আলীসহ কয়েকজন বাধা দেয়। খবর পেয়ে সিঙ্গাইর থানার ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। এলাকাবাসীর সঙ্গে দুই ঘণ্টা আলোচনার পর তিনি ওই দুই পুলিশ সদস্যকে মুক্ত করে থানায় নিয়ে যান।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলাকার কতিপয় পুলিশের সোর্স পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশে নিরীহ লোকদের মাদকের মামলায় আটক করে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। আর এই টাকার ভাগ পায় ওই পুলিশের সোর্স। দিনমজুর হাসেম আলী জানান, তিনি সন্ধ্যায় বাজারে গিয়েছিলেন ওষুধ কিনতে। ওষুধ কিনে বাড়ি ফেরার পথে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিলেন। হঠাৎ করে ওই দুই লোক এসে তার লুঙ্গি এবং শার্ট ধরে টানাটানি করেন। এরপর তার পকেটে জোর করে কী যেন ঢুকিয়ে দেন। তারা বলেন, পকেটে দুটি ইয়াবা পাওয়া গেছে। তিনি এর প্রতিবাদ করেন। এই ঘটনা দেখে এলাকাবাসীও এর প্রতিবাদ করেন।
সিঙ্গাইর থানার ওসি বলেন, গোপন সংবাদে ওই দুই পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে যায় এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে। কিন্তু পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আটক ব্যক্তি একজন ভালো মানুষ। তথ্যদাতা পুলিশকে তার সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
"