আদালত প্রতিবেদক
বিনা দোষে ভারতে সাজা
ফরাজির মুক্তির বিষয়ে আদেশ আজ
বিনা দোষে হত্যা মামলায় আসামি হয়ে ভারতের দিল্লির তিহার জেলে ১০ বছর ধরে বন্দি ছিলেন বাদল ফরাজি নামে এক বাংলাদেশি। বন্দিবিনিময় চুক্তির আওতায় বর্তমানে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক তিনি। তার মুক্তির জন্য দায়ের করা রিটের শুনানি শেষ হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজ বুধবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে আদেশের এই দিন ঠিক করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী হুমায়ন কবির পল্লব। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ। ভারতের জেল থেকে বাংলাদেশের জেলে প্রেরণ করা বাদল ফরাজির মুক্তি চেয়ে গত ৮ জুলাই হাইকোর্টে রিট করেন দুই আইনজীবী হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার।
রিটে বাদল ফরাজিকে জেলখানায় আটক রাখা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে নাÑ মর্মে রুল জারির আবেদন করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পররাষ্ট্র সচিব ও আইজি প্রিজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
পরে আইনজীবী হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, এই বাদল ফরাজি আর ভারতের ওই মামলার অভিযুক্ত ব্যক্তি একই নয়। তার নাম ছিল বাদল সিং। ওই হত্যাকা-ের সময় বাদল ফরাজি ভারতে ছিল না। তখন তিনি বাংলাদেশে ছিলেন। তিনি নির্দোষ। তাকে ফিরিয়ে আনা হলেও কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। নির্দোষ ব্যক্তিকে কেন কারাগারে রাখা হবেÑ এই মর্মে রিট করেছিলাম। আজ সেই রিটের শুনানি হয়েছে। কাল এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ঠিক করেছেন আদালত।
উল্লেখ্য, ভারতের দিল্লির তিহার জেলে খুনের মামলায় আসামি হয়ে ১০ বছর ধরে জেল খাটার পর নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন বাদল ফরাজি নামে এক বাংলাদেশি। তাকে সে দেশ থেকে ফিরিয়ে এনে বর্তমানে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।
গত শুক্রবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে তাকে জেট এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ভারত থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনা হয়। সেখান থেকে পুলিশের একটি স্পেশাল ব্রাঞ্চে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
"