প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
যশোর ও পাবনায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩
যশোর ও পাবনায় বন্দুকযুদ্ধে পুলিশ মার্ডার মামলার আসামিসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া যশোরের বাঘারপাড়ায় এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার ফুফুর দেবর। প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্টÑ
যশোর : যশোরের মণিরামপুরে সন্ত্রাসীদের দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। রোববার ভোরে যশোর-মণিরামপুর সড়কের ছাতিয়ানতলা এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তাদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। অপরদিকে, বাঘারপাড়ায় মহিদুল ইসলাম (২৬) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার ফুফুর দেবর।
যশোরের মণিরামপুর থানার ওসি মোকাররম হোসেন জানান, রোববার ভোরে যশোর-মণিরামপুর সড়কের কুয়াদা বাজার ও বেগারিতলার মাঝামাঝি ছাতিয়ানতলা এলাকায় দুদল সন্ত্রাসী বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হয় বলে পুলিশ খবর পায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুটি গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখে। তাদের বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। লাশ দুটি যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে, বাঘারপাড়া উপজেলার ভুলট গ্রামে মহিদুল ইসলাম নামের এক যুবককে শনিবার এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়। রোববার সকালে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত মহিদুল মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার কাতলী গ্রামের গাজী মোস্তফার ছেলে।
মহিদুলের বোন জামাই রবিউল ইসলাম জানান, শনিবার সকালে মহিদুলের ফুফু নাছিমাকে দেবর মিজান মারধর করে। ঘটনাটি শুনে বাঘারপাড়ার ভুলট গ্রামে যায় মহিদুল। সেখানে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে নাছিমার দেবর মিজানসহ ১০-১২জন মিলে নিহত মহিদুল ইসলামকে কুপিয়ে পিটিয়ে জখম করে। আহত মহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে তার মৃত্যু হয়।
পাবনা ও বেড়া : পাবনার আমিনপুরে নিজাম মন্ডল নামের পুলিশ মার্ডার মামলার প্রধান আসামি কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। সে আমিনপুর থানার মিরপুর এলাকার জিলাল মন্ডলের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাত সাডে ১১টার দিকে বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার ঢালার চর মালদার হাট এলাকায়।
আমিনপুর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার ঢালার চর মালদার হাট নামক স্থানে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে পুলিশ সংবাদ পায়। এই সংবাদের ভিত্তিতে আমিনপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডাকাতদলকে ধাওয়া করলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এ সময় পুলিশ ও পাল্টা গুলি ছুড়ে। গুলিবিনিময়ের এক পর্যায়ে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসাপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১টি দেশীয় পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, ২টি গুলির খালি কার্তুজ ও ৩টি চাপাতি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যও আহত হন।
পাবনা পুলিশ সুপার জিহাদুল কবীর পিপিএম জানান, নিজাম মন্ডল এলাকার কুখ্যাাত চরমপন্থি সন্ত্রাসী দলের নেতা। তার নামে পাবনা ও রাজবাড়ি জেলায় ৭টি খুন ও ২টি অপহরণসহ ৯টি মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে ঢালারচরে ৩ জন পুলিশ খুন হয়। সে ওই মামলার প্রধান আসামি ছিল।
"