বরিশালের বাকেরগঞ্জে মাদরাসা সুপার ও মসজিদের ইমামের মাথায় মলমূত্র ঢেলে লাঞ্ছিত করার বহুল সমালোচিত ঘটনার হোতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাতে পাবনা জেলার বেড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার জাহাঙ্গীর খন্দকার বাকেরগঞ্জ উপজেলার লোছনাবাদ এলাকার মৃত ইসতেহার খন্দকারের ছেলে।

বরিশালের বাকেরগঞ্জে কাঁঠালিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদরাসার সুপার ও নেছারবাগ বায়তুল আমান জামে মসজিদের ইমাম আবু হানিফার (৫০) মাথায় মলমূত্র ঢালার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। মাদরাসা পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে হেরে গিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন এ ঘটনা ঘটায়।

বরিশালের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ইমামের মাথায় মলমূত্র ঢালার ঘটনার পর থেকেই মামলার প্রধান আসামি জাহাঙ্গীর খন্দকার গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপন করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার পুলিশের একটি দল তাকে বরিশালে নিয়ে আসে।

প্রসঙ্গত, মাদরাসা পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী হন এইচ এম মজিবর ও জাহাঙ্গীর খন্দকার। নির্বাচনে ইমাম আবু হানিফা সভাপতি প্রার্থী এইচ এম মজিবর রহমানের পক্ষ নেন। নির্বাচনে বিজয়ী হন এইচ এম মজিবর রহমান। এতে জাহাঙ্গীর খন্দকার ও তার সহযোগীরা গত ১১ মে ফজরের নামাজের পর ইমাম আবু হানিফার পথরোধ করে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর খন্দকারের সহযোগীরা ইমাম আবু হানিফার মাথায় মলমূত্র ঢেলে দেয়। দৃশ্যটি ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দেয় তারা। সেই ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।

এ ঘটনায় গত ১৩ মে ইমাম আবু হানিফা বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ ও আরো ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

"