সংসদ প্রতিবেদক

  ২১ জুন, ২০১৮

সংসদে অর্থমন্ত্রী

ব্যাংকের আমানত ও সুদহার নির্ধারণে সরকার হস্তক্ষেপ করে না

বিদ্যমান বাজার অর্থনীতির আওতায় সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকসমূহের তারল্য ও বিনিয়োগের সুযোগের ওপর ভিত্তি করে প্রতিযোগিতামূলকভাবে আমানত ও ঋণের সুদহার নির্ধারণ হচ্ছে। এ বিষয়ে সাধারণত বাংলাদেশ ব্যাংক তথা সরকার হস্তক্ষেপ করে না। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম সানজিদা খানমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি তফসিলি ব্যাংকগুলো থেকে প্রাপ্ত ২০১৮ সালের মে মাসের আমানতের সুদহারের বিবরণী হতে দেখা যায় যে, ব্যাংকগুলো সঞ্চয়ী আমানতের ওপর সর্বনি¤œ দশমিক ৪০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদ, মেয়াদি আমানতের ওপর সর্বনি¤œ ২ থেকে সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ সুদ এবং স্পেশাল নোটিস ডিপোজিটের ওপর সর্বনি¤œ দশমিক ১০ থেকে সাড়ে ৮ শতাংশ সুদ প্রদান করেছে।

বেগম উম্মে রাজিয়া কাজলের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বিশ্বব্যাংক লো ইনকাম কমিউনিটি হাউজিং সাপোর্ট প্রকল্পে ৫০ মিলিয়ন ডলার বা ৫ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। এ লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ৩০ জুন বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তিনি জানান, নি¤œ আয়ের মানুষের উন্নত আবাসন তৈরিতে বিশ্বব্যাংক ঋণসহায়তা করছে। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো দুটি সিটি করপোরেশন ও একটি পৌরসভা এলাকার ১৯টি কমিউনিটিতে দরিদ্র বস্তিবাসীর জন্য আবাসন তৈরিতে সহায়তা, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন, রাস্তা-ড্রেন নির্মাণ ইত্যাদি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বস্তিবাসীদের জীবনমান উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি করবে।

সরকারি দলের বজলুল হক হারুনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী দেশ বা সংস্থার সঙ্গে বৈদেশিক সাহায্য এইডঅথবা গ্রান্ট বাবদ মোট ৪০৪ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি (কমিটমেন্ট) সম্পাদন হয়েছে। পক্ষান্তরে একই সময়ে পাওয়া গেছে (ডিসবার্সমেন্ট) ৪৫৯ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন ডলার। তিনি জানান, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কমিটমেন্ট ১৪০ মিলিয়ন ডলার এবং ডিসবার্সমেন্ট ৭১ মিলিয়ন ডলার কম হয়েছে।

জাতীয় পার্টির সালমা ইসলামের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ২০০৯ সালের ১ জুলাই হতে ২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সর্বমোট ৭৩৩টি চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে ২৬৩টি ঋণচুক্তি এবং ৪৭০টি অনুদান চুক্তি। এসব চুক্তির সঙ্গে জড়িত অর্থের পরিমাণ ৫৫ হাজার ৬৮৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ঋণের পরিমাণ ৫০ হাজার ৩৬১ দশমিক ৬১ মিলিয়ন ডলার এবং অনুদানের পরিমাণ ৫ হাজার ৩২২ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন ডলার।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আরো জানান, দেশে একটি আধুনিক, দক্ষ এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন নিরাপদ ডিজিটাল ব্যাংক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। একই সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরে ই-কমার্স লেনদেনকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে পেমেন্ট এগ্রিগেটর বা মার্চেন্ট পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস প্রোভাইডার প্রতিষ্ঠান এবং ই-ওয়ালেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের লাইসেন্স প্রদান করা হচ্ছে। এ ছাড়াও ইলেকট্রনিক লেনদেন ব্যবস্থার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist