খুলনা ব্যুরো
খুলনার তিন উপজেলায় খনন হচ্ছে ২১ পুকুর
আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবন সংলগ্ন খুলনার তিন উপজেলায় মিষ্টি পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য খনন করা হচ্ছে ২১টি পুকুর। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর পুকুর খনন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ২০০৯ সালের ২৫ মে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আইলা আঘাত হানার পর জেলার তিন উপজেলায় খাবার পানির সংকট দেখা দেয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, আইলার পর থেকে সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলায় তীব্র খাবার পানির সংকট চলছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির লবণাক্ততা বাড়ার পর এ অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানি পানের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বিশেষ করে দাকোপের সুতার খালি ও পাইকগাছার দেলুটি ইউনিয়নে শুষ্ক মৌসুমের আট মাস পানি কিনে খেতে হয়। এ সংকট নিরসনের জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর পাইকগাছা, দাকোপ উপজেলায় ছয়টি করে এবং কয়রা উপজেলায় ৯টি পুকুর খনন করছে। আগস্ট নাগাদ পুকুর খনন কাজ শুরু হবে। গেল ২০ মে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় উল্লেখ করা হয়, মিষ্টি পানি সংরক্ষণের জন্য পুকুরগুলো সংস্কারপূর্বক পানীয় জল সংরক্ষণ উপযোগী হবে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের দাকোপ উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মিলন ফকির জানান, চালনা পৌরসভা, সুতার খালি, কৈলাশগঞ্জ, কালাবগি, চুনকুড়ি, কচাবাজুয়া ও তিলডাঙ্গা এলাকায় পানি সংকট নিরসনের জন্য চয়টি পুকুরের পাশাপাশি ৫০০ পয়েন্টে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পয়েন্টগুলোর মধ্যে স্কুল, মসজিদ, মন্দির ও ব্যক্তি পর্যায়ের বাড়ি। তার দেওয়া তথ্য মতে, দুই মাসের মধ্যে পুকুর খনন প্রকল্প শেষ হবে।
পাইকগাছা উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলামের দেওয়া তথ্য মতে, দেলুটি, গড়ইখালি, রাড়–লি ও হরিঢালি ইউনিয়নে পুকুর খননের কাজ শেষ হওয়ার পথে। এছাড়া উপজেলার ৫০০ পয়েন্টে, কয়রা উপজেলায় ২০০ পয়েন্টে, বটিয়াঘাটা, তেরখাদা ও ডুমুরিয়া উপজেলার ৮০টি করে পয়েন্টে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ৪০ হাজার মানুষ নিরাপদ পানি পাবে।
"