নিজস্ব প্রতিবেদক
দুর্নীতির অনুসন্ধান
দুদকের কাছে সময় চাইলেন বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলী
নথিপত্রসহ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে হাজির না হয়ে চিঠি পাঠিয়ে সময় চাইলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) প্রধান প্রকৌশলী সুধেন্দু বিকাশ গোস্বামী। গতকাল রোববার সুধেন্দুকে হাজির হতে নোটিস পাঠিয়েছিলেন দুদকের সহকারী পরিচালক আ. সালাম আলী মোল্লা। তিনি প্রধান প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে পাওয়া একটি অভিযোগ অনুসন্ধান করছেন। গত ৪ জুন দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো আলাদা দুই নোটিসে সুধেন্দুকে ১০ ও ১২ জুন সেগুনবাগিচায় প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। বিভিন্ন উন্নয়নকাজে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তাকে তলব করে নোটিস পাঠিয়েছিল সংস্থাটি।
তবে দুদক সূত্র বলছে, সুধেন্দু নিজে দুদকের কাছে চিঠি লিখে সময় চাননি। বেবিচকের চেয়ারম্যান এম নাইম হাসান প্রধান প্রকৌশলীর হয়ে দুদকের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তাকে (প্রধান প্রকৌশলীকে) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঈদের পর সময় দিতে অনুরোধ করেন। মন্ত্রণালয়ে জরুরি বৈঠকের কারণে তিনি দুদকে হাজির হতে পারছেন না বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন এম নাইম হাসান।
৪ জুন দুদকের পাঠানো নোটিসে বলা হয়, বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলী ও অন্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে বক্তব্য দেওয়ার জন্য তাকে দুদকে আসতে বলা হয়েছে।
সূত্র জানায়, দুর্নীতির দুটি অভিযোগ নিয়ে আলাদাভাবে অনুসন্ধান করছেন সংস্থার দুই সহকারী পরিচালক মো. খায়রুল হক ও মো. আ. সালাম আলী মোল্লা।
আগামীকাল মঙ্গলবার তলব করে মো. খায়রুল হকের দেওয়া নোটিসে অভিযোগের বিষয়ে বলা হয়, সিভিল অ্যাভিয়েশনের মেইনটেন্যান্স, কনস্ট্রাকশন, কেনাকাটা ও ফান্ড ম্যানেজমেন্টে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের শ শ কোটি টাকার অনিয়ম, দুর্নীতি, আত্মসাৎ ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাড়ি-গাড়িসহ অঢেল অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
এ বিষয়ে তাকে ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বেবিচকে কী কী প্রকল্পের কাজ হয়েছে সেই তালিকা, এই দুই অর্থবছরে কেনাকাটা খাতে কত টাকা ব্যয় হয়েছে, একই সময়ে নির্মাণ ও সংস্কার খাতে কত ব্যয় হয়েছে, আইটি খাতে কত বরাদ্দ ছিল এবং কী কী কাজ করা হয়েছে তার বিবরণ এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সব ধরনের নিরীক্ষা প্রতিবেদনসহ দুদকে হাজির থাকতে বলা হয়।
এর আগে গত বছরের ১৯ অক্টোবর ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে সুধেন্দুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। ওই সময় অভিযোগ ছিল, নয়টি প্রতিষ্ঠান বেবিচক প্রকৌশলীকে নির্দিষ্ট হারে ঘুষ দিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।
"