পাঠান সোহাগ
ঈদবাজার
নিম্নবিত্তের কেনাকাটা ফুটপাতে
ঈদ মানেই আনন্দ। নতুন পোশাক এ আনন্দ আরো বাড়িয়ে দেয়। ধনী-গরিব সবাই সাধ্যের মধ্যে পোশাক কেনেন। কেউ শপিং মলে কেউ ফুটপাত থেকে। তবে আর্থিকভাবে অসচ্ছল মানুষ সাধারণত ভিড় জমান ফুটপাতে। এদিকে, ঈদ কেন্দ্র করে রাজধানীর বেশির ভাগ সড়কের ফুটপাত দখল করে তৈরি করছে অস্থায়ী দোকান। প্রায় অর্ধশত স্থানে চলছে ফুটপাতে ঈদের কেনাবেচা। এসবের মধ্যে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর-পশ্চিম গেটের সামনে, দৈনিক বাংলা মোড়, মতিঝিলের জনতা ব্যাংকের সামনে, মতিঝিল শাপলা চত্বরের চারদিকে, মিরপুর ১০ নম্বর, শ্যামলী, ফার্মগেট, ফকিরাপুল এলাকা, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ হকার্স সমিতি মার্কেট, গুলিস্তান মোড়ের চারপাশের ফুটপাত, নয়া পল্টনের ভিআইপি সড়কের ফুটপাত, গোলাপ শাহ মাজার সংলগ্ন ফুটপাত, বঙ্গবাজার, নিউ মার্কেট, গাউছিয়া এবং চাঁদনীচকের ফুটপাতে জমে উঠেছে ঈদের বেচাকেনা। সরেজমিনে রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকার ফুটপাত ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।
দেখা যায়, ফুটপাতের দোকানগুলোতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নগরীর অনেক মানুষ ছুটছেন। তারা ফুটপাত থেকেই ছেলেমেয়ে বা প্রিয়জনের জন্য পোশাকসহ প্রয়োজনীয় পণ্য কিনছেন। এই ফুটপাতে শার্ট, প্যান্ট, জুতা, সালোয়ার-কামিজ, রং-বেরঙের থ্রি-পিস, গেঞ্জি, পায়জামা-পাঞ্জাবি, কসমেটিকস, টুপি, আতরÑ সবকিছুই সাধ্যের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। নিউ মার্কেট এলাকায় ফুটপাতে দোকানগুলোতে ভিড়। বিক্রেতারা জানান, এখন বিকিকিনি জমজমাট। বেচাকেনা মধ্য রাত পর্যন্ত চলবে। তারা জানান, ফুপপাতে শার্ট বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, জিন্সের প্যান্ট ৩৫০ থেকে ৭৫০ টাকায়, টি-শার্ট ১০০ থেকে ৪৫০, মেয়েদের থ্রি-পিস ৪৫০ থেকে ১২০০ টাকা, শাড়ি ৩৫০ টাকা থকে দুই হাজার টাকা, বাচ্চাদের থ্রি-কোয়ার্টার জিন্সের প্যান্ট ৩০০ টাকা, গেঞ্জির সেট ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, ফ্রক ও টপস ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা এবং শিশুদের হাতাকাটা গেঞ্জি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা।
নিউ মার্কেটের ফুটপাত থেকে পোশাক কিনেছেন আলম মিয়া। তিনি বলেন, মেয়ের জন্য জামা, ছেলের জন্য শার্ট প্যান্ট কিনেছি। মায়ের জন্য একটা শাড়ি কাপড় কিনব। আবদুর রহিম বলেন, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা সাধ্যের মধ্যে সেরাটা খুঁজে নেন এই ফুটপাতের দোকান থেকেই। রোকশানা বেগম বলেন, বড় বড় মার্কেটে যাওয়া হয় না। ওই মার্কেটে পোশাকের দাম অনেক বেশি। অল্প টাকা দিয়ে এ ফুটপাত থেকেই কিনতে হয়।
ফুটপাতের ব্যবসায়ী রফিকুল জানান, গার্মেন্টসের সকল প্রকার পোশাক ফুটপাতে পাওয়া যায়। মানেও ভালো। দামও কম। একই জামা মার্কেট থেকে কিনতে গেলে দুই থেকে চার গুণ টাকা বেশি লাগবে। সবকিছু বিবেচনা করে ক্রেতারা ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় জমান।
"