প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
কানাডায় ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশের ডলি বেগম
কানাডার অন্টারিও প্রদেশের নির্বাচনে এই প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি প্রাদেশিক এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৪ হাজার ১৫০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ডলি বেগম। এর মাধ্যমে কানাডার ইতিহাসে এই প্রথম একজন বাংলাদেশি বাঙালি প্রাদেশিক আইন সভার সদস্য নির্বাচিত হলেন। কানাডা থেকে প্রকাশিত একাধিক বাংলা কাগজ গতকাল শুক্রবার এ কথা জানায়।
গত এপ্রিলে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পান ডলি বেগম। মনোনয়ন প্রাপ্তির পর থেকেই নড়েচড়ে ওঠেন কানাডায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এখন একজন বাঙালির এই বিজয়ে উল্লসিত কানাডাপ্রবাসী বাঙালিরা। টরন্টোর বাঙালি অধ্যুষিত ডানফোরথ এলাকায় হয়েছে বাঙালিদের মিছিল। প্রবাসী বাংলাদেশিরা মনে করছেন, এমপি ডলি সরকারের নীতিনির্ধারকদের কাছে তাদের হয়ে দাবি-দাওয়া পৌঁছে দেবেন। ৪০টি আসন পেয়ে ডলির দল ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি আছে দ্বিতীয় অবস্থানে। সাতটি আসন পেয়ে ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির ভরাডুবি হয়েছে। কনজারভেটিভ পার্টি ৭৪ আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে ।
ডলি বেগমের বাবার বাড়ি সিলেটের মৌলভীবাজার জেলায়। মা-বাবা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে শিশুকালেই কানাডায় আসেন তিনি। টরন্টো ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে ডেভেলপমেন্ট, অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে মাস্টার্স করেছেন ডলি। স্কারবোর হেলথ কোলিশনের কো-চেয়ার এবং ওয়ার্ডেন উডস্ কমিউনিটি সেন্টারের ভাইসচেয়ার হিসেবে কাজ করেছেন। ডলি বেগমের নির্বাচনীর প্রচারণার স্লোগান ছিল, ‘আমাকে নির্বাচিত করুন, আমি আপনাদের আশাহত করব না।’ ডলির এই বিজয়ে কানাডায় বেড়ে ওঠা বাংলাদেশি নতুন প্রজন্মের তরুণদের প্রেরণা জোগাবে বলেই মনে করছেন সেখানকার বাংলাদেশিরা।
"