বরিশাল প্রতিনিধি
ফিটনেসবিহীন কোনো লঞ্চ নদীবন্দরে নয়
ঈদে নৌপথে যাত্রীদের হয়রানি এবং ভোগান্তি লাঘবে নৌযানে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন রোধ এবং মাঝ নদীতে যাত্রী তোলার ওপর কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এ ছাড়া ফিটনেস এবং সনদবিহীন লঞ্চ যাতে কোনো নদী বন্দরে নোঙ্গর করতে না পারে সেজন্যও কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বরিশাল নদীবন্দর পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর এম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, এবার বর্ষা মৌসুমে ঈদ। তাই বাড়তি সতর্কতা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। আবহাওয়া সংকেত ২ নম্বর হলে ৬৫ ফুটের কম দৈর্ঘ্যর লঞ্চ, স্পিডবোট এবং ট্রলার চলাচল বন্ধ থাকবে। আবহাওয়ার সতর্কতা সংকেত ৩ হলে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর এম মোজাম্মেল হক বলেন, ঈদের আগে পাঁচ দিন এবং ঈদের পর সাত দিন দক্ষিণাঞ্চলের নৌ পথের যাত্রীদের সুবিধার্থে বরিশাল নদীবন্দরে একটি কন্ট্রোলরুম চালু করা হয়েছে। যাত্রী হয়রানি রোধে নৌ পুলিশ এবং কোস্টগার্ডকে এ বিষয়টি নজরদারি করতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ঈদ পূর্বপ্রস্তুতি দেখতে আজ ভোলা থেকে অভিযান শুরু হয়েছে। দেশের সবগুলো অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর পরিদর্শন করে ছোট-খাটো যেসব ত্রুটি বিচ্যুতি পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো সমাধান করতে তাৎক্ষণিক স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক বলেন, আসন্ন ঈদে ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থারনরত অন্তত ২৫ লাখ মানুষ এবার নৌপথে বাড়ি ফিরবে। এর মধ্যে বেশির ভাগ যাত্রীই দক্ষিণাঞ্চলমুখী। বিপুলসংখ্যক এই যাত্রীর হয়রানি এবং ভোগান্তি লাঘবে এবং তাদের যাত্রা শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘœ করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। পরিদর্শনকালে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যানের সঙ্গে উপ-পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, আজমল হুদা মিঠু এবং মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
"