নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বর্ণের পাতসহ ভারতীয় আটক পাচারে জড়িত শতাধিক দোকান
পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার থেকে স্বর্ণের পাত সংগ্রহ করে ভারতে পাচারকারী চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর (সিআইআইডি)। আটক ব্যক্তির নাম রঞ্জন সাহা (৩৬)। তিনি ভারতের নাগরিক। গতকাল শুক্রবার সকালে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট থেকে তাকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে ১৮ লাখ টাকা সমমূল্যের ৩৭৪ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের পাত জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দারা। রঞ্জন সাহার বাবা নাম অনিল সাহা। কলকাতার বেহালার ভুপেন রায় রোডের বাসিন্দা তিনি। সিআইআইডি জানিয়েছে, গোপন সংবাদে শুক্রবার সকাল ৮টায় বেনাপোল চেকপোস্টে সতর্ক অবস্থান নিয়ে রঞ্জনকে শনাক্ত করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। পরে রঞ্জন ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস পার হওয়ার পর গোয়েন্দারা তাকে চ্যালেঞ্জ করে। কিন্তু রঞ্জন তার সঙ্গে অবৈধ কোনো কিছু থাকার কথা অস্বীকার করেন। পরে বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে তার শরীরে তল্লাশি করে কোমরের বেল্টে ও শরীরের অন্যান্য স্থানে লুকায়িত অবস্থায় পাঁচটি স্বর্ণের পাত ও একটি চুড়ি জব্দ করা হয়। যার মোট ওজন ৩৭৪ গ্রাম এবং মূল্য প্রায় ১৮ লাখ টাকা। রঞ্জন ভারতে পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। চক্রের অন্য সদস্যদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক রঞ্জনের বরাত দিয়ে শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. শহীদুল ইসলাম জানান, উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের পাতগুলো তাঁতীবাজার থেকে কিনেছেন। অধিক মুনাফার লোভে ভারতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ব্যবসায়ী পরিচয় দেওয়া এই ব্যক্তি গত এক বছরে ২০ বার বাংলাদেশে আসা-যাওয়া করেছেন। এর আগেও কয়েকবার তিনি স্বর্ণ পাচার করেছেন। আইনানুগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই স্বর্ণগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা প্রদান করা হবে এবং ফৌজদারি মামলা দায়ের শেষে যাত্রীকে বেনাপোল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দার এ কর্মকর্তা আরো জানান, তাদের কাছে গোপন তথ্য রয়েছে যে, স্বর্ণের বার দেশের বাইরে থেকে আনার পর তাঁতীবাজার থেকে সেগুলো পাতে রুপান্তার করে ভারতে পাচার করে। এ রকম প্রায় শতাধিক স্বর্ণের দোকান এ পাচারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তাদের সঙ্গে ভারতের স্বর্ণ পাচারচক্রের সদস্যদের যোগসাজশ রয়েছে। এ ছাড়া দোকানগুলোর নিজস্ব কয়েকজন বাহকও রয়েছেন। তাদের মাধ্যমেই স্বর্ণগুলো পাচার হয়ে থাকে। এসব তথ্যের যাচাই-বাছাই শেষে এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
"