জামালপুর প্রতিনিধি
দফতরি নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ
জামালপুরে ইউএনও কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ
জামালপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দফতরি কাম নৈশপ্রহরী নিয়োগে ঘুষ গ্রহণ ও দুর্নীতির অভিযোগে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর এবার তাকে তার কার্যালয়ে দেড় ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রেখেছেন চাকরি প্রার্থী ও তাদের বিক্ষুব্ধ স্বজনরা। গত বৃহস্পতিবার একটি বিদ্যালয়ের দফতরি পদে মৌখিক পরীক্ষায় স্বজনপ্রীতি করে এক আবেদনকারীকে বেশি নম্বর দেওয়ার প্রতিবাদে পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় এলাকাবাসী ইউএনও অফিসের সামনে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা ইউএনওকে
তার অফিস কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। অবস্থা বেগতিক দেখে ইউএনও পুলিশ পাহারায় উপজেলা পরিষদ ত্যাগ করেন। ইউএনও ডা. মোহাম্মদ মফিজুর রহমান ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে গতকাল শুক্রবার বলেন, ওই পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হয়নি। তিনি বলেন, এক স্কুলের সভাপতির পছন্দের প্রার্থীর চাকরি না হওয়ার আশঙ্কায় তিনি লোকজন নিয়ে হট্টগোল করেছেন।
জানা গেছে গত বৃহস্পতিবার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ছিল কয়েকটি স্কুলের দফতরি কামপ্রহরী নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা। জামালপুর সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নের দহের পাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওই পদে তিনজন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন।
ওই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জামালপুর শহর আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক রশিদুল করিম তুহিন অভিযোগ করেন, নিয়োগ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মফিজুর রহমান মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তার পছন্দের প্রার্থী রিপন মিয়াকে সর্বোচ্চ নম্বর দেন এবং অন্য সদস্যদের দিয়েও বেশি নম্বর দেওয়ান। বিষয়টি জানাজানি হলে উপস্থিত অন্য প্রার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে প্রার্থীদের আত্মীয়-স্বজন ও বিক্ষুব্ধরা দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত ইউএনওকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ সময় তারা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে ইউএনও থানায় ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চান। পরে পুলিশি পাহারায় অফিসের গাড়িতে করে অফিস ত্যাগ করে তিনি ডিসি অফিসের দিকে চলে যান।
উল্লেখ্য, এর আগে শহরের চালাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি কাম নৈশপ্রহরী পদে নিয়োগে ঘুষ গ্রহণ ও অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে ইউএনও ডা. মোহাম্মদ মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
"