আকবর হোসেন, মনোহরগঞ্জ (কুমিল্লা)
মনোহরগঞ্জে নয়নপুর পল্লী মঙ্গল উচ্চবিদ্যালয়
এসএসসির ফলে উপজেলায় শীর্ষ
হয়নি এমপিওভুক্ত, টিনশেড ঘরই ভরসা, বৃষ্টি এলেই পানি পড়ে
মনোহরগঞ্জের নয়নপুর পল্লী মঙ্গল উচ্চবিদ্যালয়। হয়নি এমপিওভুক্ত। নেই কোনো ভবন। একটিমাত্র টিনশেড ঘরই ভরসা। বৃষ্টি এলেই পানি পড়ে শ্রেণিকক্ষে। আর বর্ষায় মাঠে জমে হাঁটুপানি। এই অবস্থার মধ্যেও চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় উপজেলায় শীর্ষস্থান অর্জন করেছে স্কুলটি। তবে এই অবস্থার অবসান হতে চলেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বিদ্যুৎ, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম বিদ্যালয়টির মাঠ ভরাটের জন্য বরাদ্দ দিয়েছেন। টিনশেড ঘরটি মেরামতের জন্য কুমিল্লা জেলা পরিষদও এক লাখ টাকা দিয়েছে।এ বিদ্যালয়ে মোট ৩৫০ জন ছাত্রছাত্রী লেখাপড়া করছে। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ৩২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৩১ জন। পাসের হার ৯৬.৮৮ শতাংশ। ফলে উপজেলার নামিদামি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকেও প্রথমস্থানে রয়েছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক তাজুল ইসলাম বলেন, ভাঙা টিনের ঘরে পাঠদান করতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। ঝড়-বৃষ্টি হলে শিক্ষার্থীরা ভয়ে বিদ্যালয়ে আসতে চায় না। সামান্য বৃষ্টিতেই শ্রেণিকক্ষ পানিতে ডুবে যায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশারেফ হোসেন জানান, একটি টিনশেড ঘর ছাড়া আর বিকল্প ব্যবস্থা নেই। অনেক কষ্টে আমরা পাঠদান চালিয়ে যাই। ছোট টিনের ঘরটিতে শিক্ষার্থীদের বসার জায়গা হয় না। তাদের জন্য আরো বেশি কক্ষের প্রয়োজন। নেই পর্যাপ্ত আসবাবপত্রও।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও হাসনাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন বলেন, বিদ্যালয়টিতে ভবন নেই। তার পরেও আমরা সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি। মাননীয় সংসদ সদস্য মো. তাজুল ইসলাম মহোদয়ের কাছে আমাদের দাবি, বিদ্যালয়টিকে যেন এমপিওভুক্ত করে নতুন ভবন তৈরি করা হয়।
"