প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
প্রথম কলাম
মস্তিষ্কের অ্যানিউরিজম ও তার চিকিৎসা
মাথায় রক্তের চাপে শিরা ছিঁড়ে রক্তক্ষরণ ঘটলে রোগীর প্রাণসংশয় দেখা দেয়, তাই রোগী ও ডাক্তাররা অপারেশনের ঝুঁকি নেন, ব্রেন অপারেশন, ক্যাথিটার দিয়ে, কিংবা সরাসরি মাথায়। ঝুঁকি যেমন আছে, তেমনি আছে নিরাময় হওয়ার সুযোগ। মস্তিষ্কের অ্যানিউরিজম মানে মগজের কোনো ধমনীতে রক্তচাপ বেড়ে একটি জায়গা ফুলে ওঠা। এ ধরনের অ্যানিউরিজম প্রায়শ মাত্র কয়েক মিলিমিটার পুরু হয় ও তার কোনো উপসর্গ থাকে না। অ্যানিউরিজম যতক্ষণ পর্যন্ত ফেটে না যাচ্ছে, ততক্ষণ আশঙ্কার কিছু নেই। কিন্তু ফেটে গেলে ভয়ঙ্কর। অর্ধেক রোগী সঙ্গে সঙ্গে কিংবা কিছুক্ষণের মধ্যে মারা যান। সূত্র : ডয়েসে ভেলে।
ড্যুসেলডর্ফ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরো সার্জন ড. ডানিয়েল হেংকি বলেন, ‘এ ধরনের একটি অ্যানিউরিজম ফাটবে কী ফাটবে না, তা বলার জন্য আমাদের হাতে বিশেষ পন্থা নেই। অ্যানিউরিজমের সাইজ, কী ধরনের অ্যানিউরিজম আর ঠিক কোথায়, এসবের ওপর নির্ভর করবেÑ সেইসঙ্গে থাকবে রোগীর ব্যক্তিগত অবস্থা। চিকিৎসা ও চিকিৎসাজনিত জটিলতার যে ঝুঁকি, তার সঙ্গে রোগীর অবস্থাকে মিলিয়ে একটা বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্তে আসতে হয় ডাক্তারকে। মাথায় রক্তক্ষরণের বিপদ শুধু অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দূর করা সম্ভব। একটি পন্থা হলো পেশেন্টের কুঁচকি দিয়ে ক্যাথিটার ঢুকিয়ে মগজের সংশ্লিষ্ট ধমনী পর্যন্ত চলে যাওয়া। ওই ক্যাথিটার দিয়েই অ্যানিউরিজমে প্ল্যাটিনামের অতি সূক্ষ্ম প্যাঁচানো তার ঢোকানো হয়, যার ফলে ফোলা জায়গায় আর কোনো রক্ত ঢুকতে পারে না। অ্যানিউরিজমটিকে মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়, তার ভেতরের রক্তও আর জমাট থাকে না, বরং তরল হয়ে আসে। অন্য উপায়টি হলো সরাসরি মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার। সেজন্য সবচেয়ে কাছ দিয়ে অ্যানিউরিজম অবধি পৌঁছানো দরকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার বা ক্যাথিটার ঢুকিয়ে অস্ত্রোপচার, দুটোই ব্রেনের ওপর সরাসরি অপারেশন, তাতে ঝুঁকি থেকে যায়। কাজেই আমাদের এমন একটা পদ্ধতি দরকার, যা আমাদের বলে দেবে, কোন অ্যানিউরিজমটা ফাটতে পারে আর কোন অ্যানিউরিজমটার ফাটার সম্ভাবনা কম।’
"