আদালত প্রতিবেদক

  ২২ মে, ২০১৮

রাজীবের ভাইদের ক্ষতিপূরণ : আপিলের আদেশ আজ

৫ লাখ টাকা দিতে চায় স্বজন পরিবহন

কলেজছাত্র রাজীবের দুই ভাইকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের করা আবেদনের বিষয়ে মঙ্গলবার আদেশ দেবেন সর্বোচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ গতকাল সোমবার আবেদন দুটি শুনে আদেশের জন্য এই দিন ঠিক করে দেন। বিআরটিসির পক্ষে আপিল বিভাগে শুনানি করেন এ বি এম বায়েজিদ, তার সঙ্গে ছিলেন মুনীরুজ্জামান। স্বজন পরিবহনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আবদুল মতিন খসরু ও পঙ্কজ কুমার কু-ু। স্বজন পরিবহনের আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু শুনানিতে বলেন, ‘ঘটনাটা হৃদয়বিদারক।

কিন্তু আমরা আপাতত পাঁচ লাখ টাকা জমা দিতে চাই।’

ক্ষতিপূরণের জন্য রিট আবেদনকারী আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজলও নিজেই আপিল বিভাগে শুনানি করেন।

শুনানিতে বিআরটিসির আইনজীবী এ বি এম বায়েজিদ বলেন, ‘আমরা তো ওইদিন কোনো অপরাধ করিনি। বিআরটিসির বাসটি দাঁড়ানো ছিল। স্বজন পরিবহন বাঁদিক থেকে এসে ধাক্কা দিয়েছে।’

স্বজন পরিবহনের আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু এ সময় বলেন, ‘ঘটনাটা হৃদয়বিদারক। কিন্তু আমরা আপাতত পাঁচ লাখ টাকা জমা দিতে চাই।’

ক্ষতিপূরণের পক্ষে আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘হাইকোর্ট বিভাগ রুলে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের কথা বলেছেন। টাকা জমা রাখার জন্য এরই মধ্যে একটা যৌথ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে।’

গত ৮ মে হাইকোর্ট রাজীবের দুই ভাইকে ক্ষতিপূরণের আদেশ দেওয়ার পর ১০ মে সে আদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) ও স্বজন পরিবহন। চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দিলে সোমবার এ বিষয়ে শুনানি হয়।

গত ৩ এপ্রিল কারওয়ান বাজারে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের রেষারেষিতে বিআরটিসির যাত্রী রাজীবের ডান কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার মাথার সামনে-পেছনের হাড় ভেঙে যাওয়া ছাড়াও মস্তিষ্কের সামনের দিকে আঘাত লাগে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গত ১৭ এপ্রিল রাতে সরকারি তিতুমীর কলেজের এই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। ওই দুর্ঘটনা এবং রাজীবের মৃত্যু পুরো বাংলাদেশকে নাড়িয়ে দিয়ে যায়। দুই বাসের চাপায় ঝুলতে থাকা রাজীবের হাতের ছবি সংবাদমাধ্যমে এলে ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে ৪ এপ্রিল হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল।

পটুয়াখালীর বাউফলের ছেলে রাজীব যখন তৃতীয় শ্রেণিতে, তখনই মারা যান তার মা। বাবাও চলে যান রাজীব অষ্টম শ্রেণিতে ওঠার পর। ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে খালার বাসায় থেকে কঠোর পরিশ্রমে স্নাতক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন ওই তরুণ। তিতুমীর কলেজে পড়াশোনার ফাঁকে একটি কম্পিউটারের দোকানে কাজ করে আর আত্মীয়স্বজনের সহায়তায় নিজের পাশাপাশি ছোট দুই ভাইয়ের পড়ালেখার খরচ চালাচ্ছিলেন তিনি। তার মৃত্যুতে কিশোর বয়সী দুই ভাই পড়েছে গভীর অনিশ্চয়তায়। দুই ভাইয়ের মধ্যে মেহেদী হোসেন যাত্রাবাড়ীর তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার সপ্তম এবং ছোট ভাই আবদুল্লাহ একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist