চট্টগ্রাম ব্যুরো
হালদাপাড়ের অবৈধ স্থাপনা নির্দয়ভাবে ভেঙে দিতে হবে
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেছেন, হালদা নিয়ে সরকার সংবেদনশীল। এ নদীর দখল, জবর দখল, দূষণ এসব কোনোভাবে বরদাশত করা হবে না। হালদাপাড়ের অবৈধ স্থাপনা নির্দয়ভাবে ভেঙে দিতে হবে। বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রতিবেদনের চেয়েও হালদার দখল-দূষণের বাস্তব চিত্র আরো ভয়াবহ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান। গতকাল রোববার সকালে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী পরিদর্শনে এসে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এ সময় হালদাপাড়ের অবৈধ স্থাপনা ‘নির্দয়ভাবে’ ভেঙে দিতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশও দেন তিনি।
রোববার সকাল ১০টায় মদুনাঘাট দিয়ে স্পিডবোটে হালদা পরিদর্শন শুরু করেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান। দক্ষিণ মাদার্শা, উত্তর মাদার্শা ঘুরে মোহরা ও কালুরঘাটে গিয়ে পরিদর্শন শেষ করেন তিনি। হালদা রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ নির্মাণ কার্যক্রমও ঘুরে দেখেন তিনি।
এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, বিশেষজ্ঞ কমিটি দখল-দূষণ থেকে হালদা রক্ষায় একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেখানে ২৩টি সুপারিশ বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। এসব সুপারিশ বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি।
তবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা চিত্রের চেয়েও হালদার দখল-দূষণের বাস্তব চিত্র আরো ভয়াবহ।
তিনি বলেন, অবৈধ দখলদাররা রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার করতে চায়। এখানেও যেটুকু দেখেছি তার ব্যত্যয় ঘটেনি। হালদাপাড়ের একটি ইটভাটা বন্ধ করতে পারেনি প্রশাসন। কারণ ইটভাটার মালিক একটি রাজনৈতিক দলের পদস্থ ব্যক্তি। আমরা তাকে কমিশনের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানাই, দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে তিনি ইটভাটা সরিয়ে নেবেন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাবেন।
এ সময় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য মো. আলাউদ্দিন, হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেলোয়ার হোসেন, সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মেজর নুর জামান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বপন কুমার বড়ুয়া ও হাটহাজারীর ইউএনও আখতারুন্নেছা শিউলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
"