প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৪
ফেনীতে আহত ১০
ময়মনসিংহ ও যশোরে র্যাব-পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চারজন মারা গেছেন। এ ছাড়া ফেনীতে ডাকাত দলের সঙ্গে গোলাগুলিতে পুলিশের তিন কর্মকর্তাসহ ১০ জন আহত হওয়ার খর পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার ভোররাতে এবং শুক্রবার মধ্যরাতে এসব ঘটনা ঘটে।
ময়মনসিংহ : নান্দাইল উপজেলার খলাপাড়া গ্রামের নান্দাইল-তাড়াইল সড়কে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মো. ইমন মিয়া নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি নান্দাইলের বিনয়রামপুর গ্রামে। তার বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা ছিল।
নান্দাইল মডেল থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম মিয়া জানান, গত বৃহস্পতিবার মো. রানা মিয়া (১৪) নামের এক কিশোরকে হত্যা করেন ইমন। রানা মিয়া এলাকায় ইজিবাইক চালাত। শুক্রবার সকালে বরাইল বাজার এলাকায় রানা মিয়ার লাশ পাওয়া যায়। এ কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। রানাকে খুন করে তার ইজিবাইক নিয়ে যান ইমন। ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রায়েরবাজার এলাকায় সেটা বিক্রির চেষ্টা করার সময় সন্দেহবশত আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে রানার পরিবার ইমনের বিরুদ্ধে মামলা করে। ইমনকে সঙ্গে নিয়ে তার সহযোগীদের ধরতে রাতে খলাপাড়া এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় ইমনের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় ইমন পালানোর চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ রাস্তার পাশে ইমনকে পড়ে থাকতে দেখে। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা ইমনকে মৃত ঘোষণা করেন।
যশোর : অভয়নগর উপজেলার বাগদাহ এলাকায় গত শুক্রবার রাত ৩টা ২০ মিনিটে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন ‘মাদক ব্যবসায়ী’ মারা গেছেন বলে জানায় র?্যাব। তারা হলেন অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের কাদের আলী মোড়লের ছেলে আবুল কালাম, একই গ্রামের আবদুল বারিক শেখের ছেলে হাবিবুর রহমান এবং আবদুস সাত্তার কাঁসারীর ছেলে মিলন কাঁসারী।
অভয়নগর থানার ওসি শেখ গণি মিয়া বলেন, র?্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত তিনজনই অস্ত্রধারী মাদক ব্যবসায়ী। গতকাল সকালে র?্যাব তিনটি লাশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশগুলো যশোর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
ফেনী : সোনাগাজী উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরসাহাভিকারী গ্রামের হাজীপাড়া এলাকায় ডাকাতদলের সঙ্গে গোলাগুলিতে পুলিশের তিন কর্মকর্তাসহ ১০ জন আহত হন। এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জসিমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, জসিম তালিকাভুক্ত শীর্ষ জলদস্যু ও আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় একটি এলজি, দুটি গুলি, একটি মোবাইল ফোন ও কয়েকটি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। জসিমের বাড়ি উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরসাহাভিকারী এলাকায়। তাকে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। জসিমের বিরুদ্ধে সোনাগাজী থানায় হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, অস্ত্র ও ডাকাতির অভিযোগে ৯টি করে মামলা রয়েছে।
"