প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
আলঝেইমার্স শনাক্ত করার ৫ উপায়
আলঝেইমার্স হচ্ছে মস্তিস্কের এক ধরনের রোগ, যার ফলে কিছু মনে রাখতে পারে না রোগী। এ রোগ অনেক সময় কয়েক বছর ধরে ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, শুরুর দিকে অনেক সময়ই তা ধরা পড়ে না। কারণ এই রোগের লক্ষণ অন্যান্য অসুস্থতার ক্ষেত্রেও দেখা যেতে পারে।
যুক্তরাজ্যে আনুমানিক সাড়ে আট লাখ মানুষ সাধারণ ধরনের ডিমেনশিয়ার দ্বারা আক্রান্ত। তাহলে কীভাবে শনাক্ত করা সম্ভব? এটি কেবল মাঝে মাঝে বিভিন্ন বিষয় ভুলে যাওয়া নয়, আলঝেইমার্স তার চেয়েও বেশি কিছু। কখনো কখনো কারো নাম ভুলে যাওয়া কিংবা জিনিসপত্র কোথাও রেখে সেটি ভুলে যাওয়ার ঘটনা প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে।
সাধারণ প্রতিদিনকার কাজকর্মও আলঝেইমার্সের প্রাথমিক সময়টিতে চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। এক কাপ চা বানানো খুব জটিল কিছু নয় এবং সেটার জন্য বিশেষ কিছু শিখতেও হয় না। কিন্তু আলঝেইমার্স এটিকে খুবই কঠিন বিষয়ে পরিণত করতে পারে, কেননা পরবর্তীতে কী করতে হবে, সেটি ভুলে গেলে তা বিভ্রান্ত করতে পারে অনেককে। এই অবস্থায় পরিবর্তনগুলো খুব ছোট ছোট হতে পারে, কিন্তু তা দৈনন্দিন জীবনকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি কিংবা তার পরিবার হয়তো অনুধাবন করতে পারে যে, ফোন ব্যবহারে সমস্যা কিংবা ওষুধ খেতে ভুলে যাওয়া। তাদের কথা এবং ভাষায় সমস্যা তৈরি হতে পারে। সঠিক শব্দ খুঁজে পেতেও তাদের অসুবিধায় পড়তে হয়। আমি এখানে কেন? আপনি কোথায়? কিংবা সেখানে আপনি কেন?Ñ ভুলে গিয়ে এমন প্রশ্নে কনফিউজড হওয়া আরেকটি সাধারণ ধরনের সংকেত। একজন একেবারে ভুলে যেতে পারে কোথাও যাওয়ার কারণ, বিশেষ করে অপরিচিত এলাকায় এবং বাড়িতেও সেটি ঘটতে পারে।
মন-মেজাজ পরিবর্তন : ওপরে উল্লিখিত উপসর্গগুলো কারো মধ্যে দেখা গেলে তার আচরণ পরিবর্তনের উপসর্গও থাকার সম্ভাবনা। তারা সহজেই আপসেট কিংবা বিরক্ত হয়, প্রায়ই হতাশা দেখা দেয় এবং আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। এর ফলে দৈনন্দিন কাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে।
আলঝেইমার্স সোসাইটির ক্যাথরিন স্মিথ বলেন, ‘ডিমেনশিয়া বার্ধক্যের কোনো স্বাভাবিক দিক নয়, এটি মস্তিষ্কের এক ধরনের রোগ এবং এটি কেবল বয়স্ক মানুষদের আক্রান্ত করে, তেমনটি নয়।’ ব্রিটেনে ৬৫ বছরের কম বয়সী ৪০ হাজারের বেশি মানুষ ডিমেনশিয়াতে ভুগছে। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বুঝতে পারে যখন কিছু একটা গোলমেলে লাগে। ডিমেনশিয়া নিয়ে বহু বছর ভালোভাবে বাঁচা সম্ভব। তবে দরকার ভালো চিকিৎসা।
"