নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢামেক থেকে মরদেহ নিয়ে পালাল সহকর্মীরা
মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে ময়নাতদন্তের কাগজপত্র ছাড়াই এক ব্যক্তির মরদেহ নিয়ে পালিয়েছেন তার সহকর্মীরা। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কামরাঙ্গীরচরের বাদশা মিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনের তিন তলায় কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পর্শে নিচে পড়ে যান নির্মাণশ্রমিক আব্বাস আলী। গুরুতর আহতাবস্থায় সহকর্মী রিয়াজ ও সোহাগসহ ১০-১২ জন মিলে ঢামেকে নেন তাকে। হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করলে সহকর্মীরা কৌশলে মরদেহ নিয়ে পালিয়ে যান।
এ সময় কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা বাধা দিলে মৃত আব্বাসকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান। এ ঘটনায় জড়িত সোহাগ ও রিয়াজের ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দিলে পরিচয় জানতে পেরে ফোনটি বন্ধ করে দেন। নিহত আব্বাসের গ্রামের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়।
কর্তব্যরত আনসার সদস্য সুমন বলেন, ‘আব্বাসকে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এ ধরনের মৃত্যুর পর নিয়মানুযায়ী ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর কথা। কিন্তু নিহতের সহকর্মীরা কৌশলে আমরা কিছু বুঝে উঠার আগেই বাইরে নিয়ে চলে যান। বাধা দিলে আব্বাসকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে বলে জানান। পরে জানতে পারি তারা মিথ্যা বলেছেন।’
ঢামেক ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, এ ঘটনা কামরাঙ্গীরচর থানাকে জানানো হয়েছে। মরদেহ যেখানেই নেওয়া হোক না কেন হাসপাতালেই ফের আনতে হবে।
"