রংপুর প্রতিনিধি
হাসপাতালে কাতরাচ্ছে সুমাইয়া ১৩ দিনেও আটক নেই
রংপুরে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে ডান পা হারানো শিশু সুমাইয়া আখতার বাবলী। ঘটনার ১৩ দিনেও কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। সুমাইয়া এখন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রংপুর সিটি করপোরেশনের মাহিগঞ্জের সুন্দরগঞ্জ সড়কে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে সে পা হারায়। ডা. সাবরিনা জানান, শিশুটির আবারও জরুরি অপারেশন করাতে হবে। সেজন্য আগামীকাল রোববার নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৩ দিনেও কাউকে আটক না করার কারণ জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ওসি বাবুল হোসেন জানান, কেউ অভিযোগ করেনি। তাই ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩২ নম্বর অর্থোসার্জারি ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, সুমাইয়া যন্ত্রণায় কাতারাচ্ছে। মা কাজলী চেষ্টা করছেন একমাত্র মেয়ের কান্না থামাতে।
শিশুটির বাবা শফিকুল ইসলাম বাবু জানান, প্রতিদিন কমপক্ষে দুই হাজার টাকার ওষুধ লাগে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন রোববার আবারও শিশুটির পায়ে অপারেশন করতে হবে। এ জন্য আরো তিন পাউন্ড রক্ত লাগবে। এ ছাড়াও অনেক টাকার ওষুধ দরকার।
তিনি জানান, গত ২২ এপ্রিল বিকালের দিকে সুমাইয়া মাহিগঞ্জে বাড়ির কাছে একটি ধানের চাতালে খেলছিল। একপর্যায়ে সড়কের কাছে চলে যায়। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মালবাহী ট্রাক তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই ডান পাটি থেঁতলে যায়। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তাৎক্ষণিকভাবে শিশুটির ডান পা হাঁটুর নিচ থেকে কেটে ফেলে। এরপর থেকে সে সেখানে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে তার শরীরে কয়েক পাউন্ড রক্ত দিতে হয়েছে।
সুমাইয়ার বাবা জানান, তার নিজের বাড়ি-ঘর, এমনকি ভিটে পর্যন্ত নেই। নগরীর মাহিগঞ্জ এলাকায় একজনের জমিতে ঘর তুলে স্ত্রী ও মেয়ে সুমাইয়াকে নিয়ে থাকেন। তিনি ক্ষেত মজুরি করেন। কখনো কখনো ধানের চাতালে কাজ করেন। সারা দিনে মজুরি পান দুই থেকে আড়াইশ টাকা। মেয়ের চিকিৎসার জন্য তিনি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।
"