প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
পদোন্নতিতে অনীহা : চাপরাশির ঘরে শতকোটি রুপির সম্পদ!
দুই কেজি স্বর্ণ, সাত কেজি রুপা, নগদ ৭ কোটি ৭০ লাখ রুপি, আর জায়গা সম্পত্তি ৫০ একরের বেশি, ১৭টি বাড়ি আর আরাম আয়েশের জন্য পান্থনিবাসও রয়েছে তার। নিশ্চয়ই ভাবছেন সাবেক কোনো জমিদার বা রাজার সম্পদের ফিরিস্তি এটা। না, এগুলো সাধারণ বেতনে চাকরি করা একজন চাপরাশির সম্পত্তির কিছু অংশ। তবে চাপরাশি মহাশয় সরকারি কর্মচারী, এই যা! তার বাড়ি-ঘরে তল্লাশি চালিয়ে কোটি নয়- শত কোটি টাকারও বেশি মূল্যের এসব সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছে সরকারি লোকজন।
সরকারি অফিসে একজন পিওন স্তরের ওই কর্মচারীর রয়েছে কোটি টাকার ওপরে জীবন বিমা পলিসি। এছাড়াও ২০ ও ১০ লাখ রুপির আরো দুটি পলিসি রয়েছে কে. নরসিংহ রেড্ডি নামের এই ভাগ্যবানের!
ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের তেল্লোরের পরিবহন কমিশনের একজন চাপরাশি সে। অনেকদিন ধরেই কানাঘুঁষা চলছিল রেড্ডির অবৈধ সম্পত্তির বিষয়ে। শেষে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এন্টিকরাপশন ব্যুরো (এসিবি) তার ঘরে তল্লাশি চালিয়ে এসব সম্পদের খোঁজ পায়। তল্লাশিকালে স্বর্ণ ও হীরকের অলংকার ছাড়াও কয়েক কোটি রুপির অন্যান্য বিলাসদ্রব্যও উদ্ধার করা হয়। রেড্ডির অবৈধ পথে আয় করা সম্পদের খোঁজে মোট ছয়টি স্থানে হানা দিতে হয় এসিবিকে।
ভারতে হিন্দি পত্রিকা জনসত্তার প্রতিবেদনে বলা হয় বর্তমানে উচ্চহারে বেতন বৃদ্ধির পরও অভিযুক্ত নরসিংহ রেড্ডির মাসিক বেতন সব মিলিয়ে ৪০ হাজার রুপি হবে। এসিবি জানায়, ১৯৮৪ সালের ২২ অক্টোবর থেকে একই দফতরে একই পদে চাকরি করে আসছে নরসিংহ। বিগত ৩৪ বছর ধরে বিনা পদোন্নতিতে ওই পদে রয়ে গেছে সে। এসিবি মহাপরিচালক আরপি ঠাকুর জানান, নরসিংহ চাকরিকালে যেকোনো ধরনের প্রমোশন নিতে সোজাসাপ্টা অস্বীকৃতি জানিয়ে এসেছে। ওই পদে থেকে বেশুমার পয়সা কামানো যায়Ñ এটাই ছিল তার পদোন্নতিতে রাজি না হওয়ার আসল কারণ।
"