কুষ্টিয়ায় বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে মাস্টাররোলে কর্মরত সুজন নামে এক শ্রমিকের পায়ুপথ দিয়ে কম্প্রেসার মেশিন দিয়ে বাতাস ঢোকানোর অভিযোগ উঠেছে আহত শ্রমিকের সহকর্মী রেজাউলের বিরুদ্ধে। গত বুধবার কারখানা অভ্যন্তরে ফ্লোর ক্লিন করার সময় এ ঘটনায় গুরুতর আহত ওই শ্রমিককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ১০ নম্বর সার্জারি ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাজিবুল হাসান জানান, রোগীর শরীরে বাতাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তবে তিনি শতভাগ আশঙ্কামুক্ত নন। চিকিৎসা চলছে।

সদর উপজেলার চাপইগাছী গ্রামের সরোয়ার হোসেনের ছেলে সুজন অন্য দিনের মতো বুধবার রাতে কুষ্টিয়া বিসিক শিল্পনগরীর কিয়াম মেটালে কর্মরত ছিলেন। ওই প্রতিষ্ঠানের মাস্টাররোল শ্রমিক সুজন ইসলাম ও সহকর্মী রেজাউল ক্লিনিংয়ের কাজ করার সময় সহকর্মী রেজাউল পেছন থেকে হাওয়া মেশিন দিয়ে পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে দেন। এতে গুরুতর অসুস্থ ও অচেতন হয়ে পড়েন সুজন। তাৎক্ষণিকভাবে সুজনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান বলে জানালেন সুজনের শ্যালক মিল্টন হোসেন। মিল্টনের দাবি ঘটনা যেভাবেই ঘটুক এর সুষ্ঠ বিচার ও শাস্তি হওয়া উচিত। চিকিৎসাধীন সুজন জানান, সহকর্মী রেজাউল কেন এমন কাজ করল তা বুঝতে পারিনি। হঠাৎ সেকেন্ডের মধ্যে পেট ফুলে অচেতন হয়ে পড়ি।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ১০ নম্বর সার্জারি ওয়ার্ডের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. রাজিবুল হাসান জানিয়েছেন, চিকিৎসাধীন সুজনের অবস্থা এখনো শতভাগ সংকটমুক্ত বলা যাচ্ছে না। তবে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত অনেকটা স্ট্যাবল থাকায় ধারণা করা যায় রোগীর চিকিৎসা এ হাসপাতালেই সম্ভব।

ঘটনাস্থল কুষ্টিয়া বিসিক শিল্পনগরীর ‘কিয়াম মেটালের’ মানবসম্পদ কর্মকর্তার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন, ‘ঘটনাটা অসাবধানতা, ঠাট্টার ছলে হয়ে থাকতে পারে। আমরা বিষয়টা দেখছি।’

"