খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
সিরিজ বোমা হামলা
খাগড়াছড়িতে ১৫ জেএমবির যাবজ্জীবন
খাগড়াছড়িতে সিরিজ বোমা হামলার দীর্ঘ ১৩ বছর পর বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে ১৫ জেএমবি সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদ- দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং জেলা ও দায়রা জজ রতেœশ্বর ভট্টাচার্য এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামি বেলাল মিয়া ছাড়া অন্যরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এই মামলায় সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে সাত আসামিকে বিস্ফোরক প্রস্তুত ও মজুদ রাখায় অন্য একটি ধারায় ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
মামলায় ম্যাজিস্ট্রেটসহ মোট ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তবে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় আবুল কালাম নামে একজনকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত পাওয়াদের মধ্যে দিনাজপুরের কোতোয়ালি থানার হাফেজ মো. শহিদুল্লাহর ছেলে মো. আরিফুল ইসলাম, বাগেরহাটের শরণখোলার মৃত. মোজাহার আলীর ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম, খাগড়াছড়ির দীঘিনালার সুলতান মাহমুদের ছেলে মো. রুহুল আমিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মৃত নওশাদ আলীর ছেলে মো. করিম আলী, বাগেরহাটের শরণখোলার আবদুল মজিদ জমাদ্দারের ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন, খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মৃত লেহাজ উদ্দিনের ছেলে মঞ্জু মিয়া, খাগড়াছড়ির মোসলেম উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে রুহুল আমিন সুফীকে আরো ১০ বছরের সশ্রমকারাদ- দেওয়া হয়েছে।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেনÑ রংপুরের গঙ্গাচরা থানার নুরুল হকের ছেলে মো. এরশাদ, খাগড়াছড়ির দীঘিনালার নুরুল আলম মোয়াজ্জেমের ছেলে মো. বেলাল মিয়া, বরিশালের কোতয়ালি থানার মো. শাহজাহানের ছেলে মো. হাসান আল মাহমুদ, ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানার মৃত ওসমান আলীর ছেলে মো. আসাদুজ্জামন।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার নুরুল ইসলামের ছেলে মো. এমদাদুল হক, একই এলাকার হাছেন আলীর ছেলে মো. ফারুক হোসেন, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার মাওলানা আবদস সামাদের ছেলে মো. এনায়েত উল্লাহ এবং চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড এলাকার মৃত জহুরুল হকের ছেলে আবুজর ওরফে আইয়ুব আলী। এই আট আসামিকে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের ৩ ও ৬ ধারার বিস্ফোরণ ঘটানো, জানমালের ক্ষতি ও বিস্ফোরণে সহায়তা করায় যাবজ্জীবন কারাদ-, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদ- দেওয়া হয়।
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের এজলাসের সামনে, জজ আদালত এলাকায় এবং শাপলা চত্বরের মুক্তমঞ্চের সামনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে তিনজন আহত হন। পরবর্তীতে এ ঘটনায় সদর থানার উপ-পরিদর্শক সাঈদ হাসান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ৩ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়।
"