আদালত প্রতিবেদক
মামুনের মামলা চার মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ
ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা অর্থ পাচারের একটি মামলা আগামী চার মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের ছয় সাক্ষীকে পুনরায় জেরা করতে মামুনের আইনজীবীদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের ছয় সাক্ষীকে পুনরায় জেরার আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে মামুনের করা লিভ টু আপিলের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতির সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। আদালতে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও এস এম শাহজাহান। দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতে এ মামলার বিচার চলছে। নবম সাক্ষীকে জেরা করছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আগামী ২৫ এপ্রিল মামলাটি আবার উঠবে আদালতে।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের করা লিভ টু আপিলের ওপর গত দুই দিন শুনানির পর আপিল বিভাগ বিচারিক আদালতকে চার মাসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে ছয় সাক্ষীকে পুনরায় জেরার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, টঙ্গীর বিসিক শিল্প এলাকায় একটি ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কার্যাদেশ তারেক রহমানের মাধ্যমে পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০০৭ সালের ৩১ মে পর্যন্ত সময়ে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা গ্রহণ করে মামুন। পরে তা সিঙ্গাপুর পাচার হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা করেন।
উল্লেখ্য, গিয়াস উদ্দিন আল মামুন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদার।
"