পাবনা প্রতিনিধি

  ০৯ এপ্রিল, ২০১৮

পাবনায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট

পাবনায় এক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার বিকেলে বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানাধীন জাতসাকীনি ইউনিয়নের নান্দিয়ারা গ্রামে। এ ব্যাপারে গতকাল রোববার কমান্ডার মতিউর রহমান বাদী হয়ে আমিনপুর থানায় অভিযোগ করেছেন। জাতসাকিনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল হক বলেন, ‘ছোট বাচ্চাদের বিষয় নিয়ে এ ধরনের কর্মকান্ড কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না। বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তারপর কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটল, আমি জানি না।’

আমিনপুর থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, এলাকায় স্কুলপড়–য়া বাচ্চাদের খেলাধুলাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট দ্বন্দের মীমাংসা করতে স্থানীয় সংসদ সদস্য আজিজুর রহমান আরজু এমপি দায়িত্ব নেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার নগরবাড়ী বনিক সমিতির অফিসে উভয় পক্ষকে নিয়ে এক সালিশি বৈঠক হয়। এদের এক পক্ষে থাকেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মতিউর রহমান অন্যপক্ষে থাকেন জাতসাকিনী ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি রওশন আলম। সালিশে অপরাধীদের কান ধরে ক্ষমা চাওয়া ও ভবিষ্যতে এরকম না করার অঙ্গীকার করানো হয়। কমান্ডার মতিউর রহমান তার অভিযোগে বলেন, ‘নগরবাড়ী বনিক সমিতি অফিসে সালিশি বৈঠক শেষে বাড়ি ফেরার পথে নগরবাড়ী মহ্সাড়কের পাশেই অবস্থিত তার বসত বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জাতসাকীনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রওশন আলীর বড় ছেলে আল-আমিন দলবল নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় বাড়িতে মহিলারা ব্যতীত কেহ না থাকায় তারা হাসুয়া, রাম দা দিয়ে আমার ঘরের টিনের বেড়া কুপিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং কমান্ডার মতিউর রহমানকে হত্যার হুমকি দিয়ে যায়। এমনকি, ঘরে থাকা নগদ অর্থ ও তার মেয়ের গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। অন্যদিকে ওই একই সময়ে পাশের সবারতের বাড়িতেও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। এ সময় ঘরে থাকা আসবাবপত্র ভাঙচুরসহ সবারতের স্ত্রী মাহেলা খাতুন এবং পুত্রবধূ লাভলী খাতুনকে মারপিট করে আলমারী থেকে স্বর্ণের অলংকার ও নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। খবর পেয়ে আমিনপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে গতকাল রোববার কমান্ডার মতিউর রহমান বাদী হয়ে রওশনের ছেলে আল আমিনকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের বিরুদ্ধে আমিন পুর থানায় অভিযোগ করেন।

আমিনপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist