কূটনৈতিক প্রতিবেদক
রোহিঙ্গা সহায়তায় সাড়ে ১৬ মিলিয়ন ডলার চায় ‘হু’
আসন্ন বর্ষা মৌসুমে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ১৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানান সংস্থাটির দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ড. পুনম ক্ষেত্র পাল।
তিহনি বলেছেন, আশ্রিত প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গার সঠিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে আর্থিক সংকট রয়েছে। তাছাড়া আসছে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাতের ফলে স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহতসহ নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। সম্প্রতি এটি সর্ববৃহৎ মানবিক বিপর্য়য়। বাংলাদেশ সরকার বা কোনো একক সংস্থার পক্ষে বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গারা পাহাড়ের ওপর যেখানে আশ্রয় নিয়েছে সে এলাকা সাইক্লোন ও ভূমিধসপ্রবণ এলাকা। বর্ষা এলেই পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। তাছাড়া বিশুদ্ধ পানির অভাব এবং ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়াবাহী মশার প্রকোপ রয়েছে।
সহযোগীদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি প্রেক্ষাপট তুলে ধরে জানান, বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি শতাধিক দাতা সংস্থা আসছে বর্ষায় রোহিঙ্গাদের জীবন ও স্বাস্থ্য রক্ষায় নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে নির্মিত ২০৭টি স্থাপনার এক-চর্তুথাংশ ভূমিধসের ঝুঁকিতে থাকায় সেগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে। এপ্রিলে আরেক দফা কলেরা ও মিজেলসের টিকা দেওয়া হবে। ইতোপূর্বে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ৯ লাখ ডোজ ডায়রিয়ার টিকা প্রদানের পাশাপাশি দুই দফা মিজেলস ও তিন দফা ডিপথেরিয়ার টিকা দেওয়া হয়।
ড. পুনম ক্ষেত্র পাল জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আসন্ন বর্ষা মৌসুমের জন্য আগাম ওষুধ ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি মজুদ করছে। রোহিঙ্গা সমস্যা শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ১২০ টন ওষুধ ও যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছে।
"