কূটনৈতিক প্রতিবেদক
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানালেন
ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনে প্রাধান্য পাবে রোহিঙ্গা সংকট
আগামী মে মাসে ঢাকায় হতে যাচ্ছে ইসলামী সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম সম্মেলন। এই সম্মেলনে জোরালোভাবে উপস্থাপন করা হবে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক সেমিনারে এ কথা জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। ওই সম্মেলনের বিষয়েই সেমিনারটির আয়োজন হয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যুটি জোরালোভাবে তুলে ধরা হবে। কেবল তা-ই নয়, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে কিছু করার জন্যও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হবে।
সম্মেলনে অংশ নিতে আসা পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪ মে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন নিয়ে যাওয়া হবে উল্লেখ করে শাহরিয়ার আলম বলেন, ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কাছে রোহিঙ্গা আশ্রয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের মানবিকবোধ উপস্থাপন করা হবে।
তিনি জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার জন্য আমাদের সঙ্গে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) সমঝোতা হয়েছিল। এখন মিয়ানমারও সংস্থাটির সঙ্গে এ বিষয়ে কাজ করতে রাজি হয়েছে। দীর্ঘসময় এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের। সেখানে তারা প্রথমে রাজিই ছিল না। কোনো ডকুমেন্টেই ইউএন বা ইউএনএইচসিআরকে লিখতে। তা আমরা আমাদের পার্টে (অংশ) লিখেছিলাম। আমরা এরই মধ্যে সম্পৃক্ত করেছি। কিন্তু এখন আশার কথা হচ্ছে এটা একটা খুবই বড় পজিটিভ উদ্যোগ বা পদক্ষেপ। আমি বলব, মিয়ানমার সরকার এখন ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে এনগেজ হয়েছে। এটা জাতিসংঘ আমাদের কনফার্ম করেছে। এই পজিটিভ উদ্যোগগুলোর মধ্য দিয়ে আশা করি সমস্যাগুলোর সমাধান হবে।
গত বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। এরপর গণহত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ, নির্যাতনের মুখে ৭ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর চুক্তি করে বাংলাদেশ।
"