নিজস্ব প্রতিবেদক
আহতদের দেখতে ভিড় না বাড়াতে পরামর্শ নাসিমের
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বিধ্বস্ত বিমানের আহত যাত্রীদের সুচিকিৎসার স্বার্থে হাসপাতালে ভিড় না করার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। কাঠমান্ডুতে ওই বিমান দুর্ঘটনার পর বেঁচে যাওয়া ১০ বাংলাদেশি যাত্রীর মধ্যে ছয়জনকে দেশে এনে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। বেদনাদায়ক এই ঘটনাটি নিয়ে সবার আগ্রহ থাকায় হাসপাতালে থাকা আহতদের দেখতে সাংবাদিকসহ অন্য অনেকে ভিড় করছেন। এই প্রেক্ষাপটে গতকাল রোববার সচিবালয়ে আহতদের চিকিৎসার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আহতদের দেখতে না যাওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের বার্ন ইউনিটটি অতি ছোট, সেখানে ভিড় হলে স্বজন ও রোগীদের অসুবিধা হয়। চিকিৎসাটাই এখন আমাদের অগ্রাধিকার। যারা আহত হয়েছেন তারা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন। ফিরে আসাদের জন্য সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের (সাংবাদিক) কোনো আহতকে দেখতে যাওয়ার দরকার নেই, তাদের বিরক্ত করার দরকার নেই। কেমন আছে বা না আছে, আমাদের কাছ থেকে জেনে নিবেন।’ বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা আমাদের বারবার বলছেন যে, রোগীকে আপনারা দয়া করে কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবেন না এই মুহূর্তে। রোগীদের যদি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন, তবে তারা আরো ইমোশনাল হয়ে যায়। এটা একটা সাংঘাতিক....এক ট্রমার ওপর আরেকটি ট্রমা হয়ে যায়।’ ‘যতটুকু প্রয়োজন, হাসপাতালের নিচে আপনারা আসবেন, আমরা ব্রিফিং করব’-সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন সামন্ত লাল।
ইতোমধ্যে ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন রয়েছেনÑ শাহরিন আহমেদ, মেহেদী হাসান অমিয়, তার স্ত্রী সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা, মেহেদীর ফুপাত ভাইয়ের স্ত্রী আলমুন নাহার অ্যানি, রাশেদ রুবায়েত ও শাহীন ব্যাপারী। বার্ন ইউনিটে ভর্তি থাকা পাঁচ রোগীর বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে অর্থোপেডিক সার্জারির সহযোগী অধ্যাপক সাইদুল ইসলাম। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সিরাজুল হক খান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আহত যারা দেশে আসছেন তারা চিকিৎসার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সহযোগিতা পাচ্ছেন।
"