নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৪ মার্চ, ২০১৮

বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম বাড়বে : অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, সস্তায় জ্বালানি আর বেশি দিন দেওয়া যাবে না। জ্বালানি খাতে ভর্তুকি অব্যাহত থাকবে। তারপরও বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়বে।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে সব সময়ই ভর্তুকি ছিল। যে সরকারই আসুক এই ভর্তুকি বন্ধ করতে পারবে না। আগামী বাজেটেও আমাদের এই ভর্তুকি অব্যাহত থাকবে। আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে কম মূল্যে জনগণকে জ্বালানি দেওয়া হচ্ছে। এ কারণেই জ্বালানি খাতে প্রতি বছর ভর্তুকি দেওয়া হয়।

২২ মার্চ বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে বের হয়ে আসার উৎসব করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন মধ্য আয়ের দেশে যাব। এই মুহূর্তে নিউইয়র্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে। আশা করা যায় আগামী ১৮ তারিখের আগেই সে ঘোষণা আসবে। ২২ তারিখে আমরা তা উদ্যাপন করব।’

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠান (বিইআরসি) স্বাধীন প্রতিষ্ঠান নয়। এটা স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান এটা সবার মনে রাখতে হবে। সরকার আইন করে এই প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করেছে। তবে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে থাকলেও তাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য যেন যথাযথ বাস্তবায়ন করা যায় সেটা লক্ষ রাখতে হবে।’

কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর প্রেসিডেন্ট গোলাম রহমান বলেন, ‘জ্বালানি খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। যদিও বিইআরসি এখন পর্যন্ত ভোক্তাদের আস্থা অর্জন করতে পারেনি। সরকারের নির্দেশনা অনুসারে জ্বালানি তেলের দাম কমে কিংবা বাড়ে উল্লেখ করে স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে এ খাতে সুসাশন প্রতিষ্ঠি হবে।

এছাড়া আগামী বাজেটে জ্বালানি খাতের ওপর কোনো ট্যাক্স না বসানোর জন্য অর্থমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম তামিম বলেন, ‘বিইআরসির প্রতি কারো আস্থা নেই। তারা সরকারি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে। আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের সঙ্গে দেশের বাজারে জ্বালানির মূল্য সমন্বয় করতে হবে।’ তিনি এ বিষয়ে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে আহ্বান জানান।

বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম বলেন, ‘২০৪১ সালে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা হবে ৬০ হাজার মেগাওয়াট। আর গ্যাসের চাহিদা এমসিএফটি। আমাদের লক্ষ্য টেকসই ও আধুনিক জ্বালানি নিশ্চিত করা। এ সময় পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয় তাদের যে ৪৫ হাজার কোটি টাকা সরকার ঋণ হিসেবে দেয়, তা যেন অনুদান হিসেবে দেওয়া হয়।’

অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মোহম্মদ ফয়েজউল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য দেন। জ্বালানি খাতের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিইআরসির সদস্য মিজানুর রহমান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist