আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বামুন নক্ষত্রে ‘বাসযোগ্য’ সুপার আর্থ!
আমাদের সৌরজগতের বাইরে বেশ কিছু খুদে নক্ষত্র জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের আগ্রহী করে তুলেছে। ‘বামুন নক্ষত্র’ নামের এসব খুদে নক্ষত্রের অন্তত ১৫টি গ্রহের একটিতে পৃথিবীর অনুরূপ অন্তত তিনটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন তারা। তারা এদের নাম দিয়েছেন ‘সুপার আর্থ’। ‘সুপার আর্থ’ নামের ওই বিশেষ গ্রহগুলোতে রয়েছে পৃথিবীর অনুরূপ নানান জীব-অনুকূল বৈশিষ্ট্য। এই তিন গ্রহে ‘পানির অস্তিত্ব রয়েছে’ বলে তাদের জোর বিশ্বাস।
জাপানের টোকিও ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির জ্যোতিবিজ্ঞানীদের একটি দল জানিয়েছে, ওই লাল বামুন নক্ষত্রগুলোর একটিকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে ওই তিনটি ‘সুপার আর্থ’ বা ত্রয়ী গ্রহ। আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে কাছেই এদের অবস্থান। এ কারণে আমাদের সৌরজগতের গ্রহম-লীর বিন্যাস ও ক্রমবিকাশের সঠিক অনুধাবন ও গবেষণার জন্য এইসব লাল বামুন নক্ষত্র ও এদেরকে প্রদক্ষিণরত গ্রহম-লকে জানা খুবই জরুরি। এ জন্যই জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে তারা।
জ্যোতিবিজ্ঞানীদের ওই দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন তেরিইয়ুকি হিরানো। তিনি বলেন, ওইসব লাল, অতি শীতল বামুন নক্ষত্রদের বিন্যাস নিয়ে অনুসন্ধান ও গবেষণা সবে শুরু হয়েছে। সৌরজগতের বাইরের গ্রহদের নিয়ে ভবিষ্যৎ গবেষণার বিষয় হিসেবে এগুলো জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মধ্যে চমৎকার আগ্রহের সঞ্চার করেছে। বিজ্ঞানীরা জানান, এইসব লাল বামুন নক্ষত্রের তিনটি সুপার আর্থের একটির নাম কে-২-১৫৫। আমাদের পৃথিবী থেকে ২০০ আলোকবর্ষ দূরে এর অবস্থান। এর রয়েছে তিনটি ‘সুপার আর্থ’। এগুলো আমাদের পৃথিবীর চেয়ে আকারে সামান্য বড়ো।
এই তিনটি সুপার আর্থের মধ্যে দূরতমটির নাম কে-২-১৫৫-ডি। এটির ব্যাস আমাদের পৃথিবীর ১ দশমিক ৬ গুণ বেশি। গ্রহটির অবস্থান ওই বামুন নক্ষত্রটির সবচেয়ে প্রাণ-অনুকূল ও বাসযোগ্য এলাকার মধ্যে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের গবেষণাকর্মটি দ্য অ্যাসট্রোনমিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানী দলটি দেখতে পান, কে-২-১৫৫-ডি নামের সুপার আর্থের উপরিভাগে পানির অস্তিত্ব রয়েছে। ত্রিমাত্রিক গ্লোব্যাল ক্লাইমেট সিমুলেশনের মাধ্যমে তারা এমন সিদ্ধান্তে এসেছেন।
"