সিলেট প্রতিনিধি
ফিরছিলেন মেডিক্যালের ১৩ শিক্ষার্থী
নেপালে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলার বিমানে ছিলেন সিলেটের বেসরকারি রাগীব-রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজের ১৩ নেপালি শিক্ষার্থীও। গত রোববার এমবিবিএস ১৯তম ব্যাচের ফাইনাল প্রুফ পরীক্ষা দিয়ে দুই মাসের ছুটিতে তারা সবাই এই বিমানে নেপালে নিজের পরিবারের কাছে ফিরছিলেন। ওই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১১ জন মেয়ে ও দুইজন ছেলে। গতকাল সোমবার বিকেলে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করলেও এই শিক্ষার্থীদের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
বাংলাদেশি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অবস্থা নিয়ে রাগীব-রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। রাগীব-রাবেয়া মেডিক্যালের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানে যাত্রী হিসেবে ছিলেনÑ সঞ্জয় পৌডেল, সঞ্জয়া মহারজন, নেগা মহারজন, অঞ্জলি শ্রেষ্ঠ, পূর্নিমা লোহানি, শ্রেতা থাপা, মিলি মহারজন, শর্মা শ্রেষ্ঠ, আলজিরা বারাল, চুরু বারাল, শামিরা বেনজারখার, আশ্রা শখিয়া ও প্রিঞ্চি ধনি।
মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আবেদ হোসেন বলেন, বিধ্বস্ত হওয়া বিমানে আমাদের কিছু শিক্ষার্থী ছিল বলে শুনেছি। তবে কতজন ছিল, তা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। নেপালে অবস্থানরত আমাদের প্রক্তন এক ছাত্রের মাধ্যমে পুরো বিষয় জানার চেষ্টা করছি। ডা. আবেদ হোসেন বলেন, শেষবর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা শেষে ফল প্রকাশের জন্য দুই মাসের মতো সময় লাগে। এই সময়ে সবাই নিজেদের বাড়িতে চলে যায়। নেপালের এই শিক্ষার্থীরাও তাদের দেশে যাচ্ছিল। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ ছাড়াও নগরীর বেসরকারি অন্য পাঁচটি মেডিকেল কলেজে কয়েক শ নেপালি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন।
"