নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রতারকের খপ্পরে ব্যবসায়ী সর্বস্বান্ত : প্রাণনাশের হুমকি
প্রতারকের পাল্লায় পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন এক ব্যবসায়ী। প্রতারকের দ্বারা মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ হওয়ার পর এখন তিনি দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। এমনকি ব্যবসায়ীকে নানাভাবে জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে ওই প্রতারক।
জানা গেছে, এমএ খালেকুর খালেক নামে এক প্রতারকের খপ্পরে পড়ে আড়াই কোটি টাকা খুইয়েছেন মোস্তফা কামাল নামে ওই ব্যবসায়ী। মোস্তফা কামাল জানান, পিএফআই প্রপার্টিস লিমিটেড নামে একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান থেকে রাজধানীর গুলশান এলাকায় ১৯১০ বর্গফুটের দুটি ফ্ল্যাট ২০১৫ সালের মধ্যে বুঝিয়ে নেওয়ার শর্তে ২০১৪ সালে চুক্তি করেন তিনি। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী তিনি নিয়মিত কিস্তিতে পিএফআই প্রপার্টিস লিমিটেডের কর্ণধার এমএ খালেকুরকে ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও তাকে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেননি। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ফ্ল্যাটের নির্মাণকাজই শেষ হয়নি।
মোস্তফা কামাল আরো জানান, টাকা পরিশোধের দুই বছরের মধ্যেও ফ্ল্যাটের কাজ শেষ না হওয়ায় তিনি টাকা ফেরত চান। এ কারণে সন্ত্রাসী দিয়ে তাকে হত্যার হুমকি দেন খালেকুর। বিষয়টি নিয়ে ২০১৭ সালের ১৫ জুন আদালতে মামলা করেন মোস্তফা কামাল। এতে পিএফআই প্রপার্টিসের চেয়ারম্যান এমএ খালেকুর, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাসিস্ট্যান্ট সেলস্ ম্যানেজার এনএম আবু সুফিয়ান হেড অব সেলস্ জেএম হেলালউদ্দিন ও চিফ অপারেটিং অফিসার ইঞ্জিনিয়ার আসাদ আর খানকে আসামি করা হয়। আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এ প্রেক্ষিতে খালেকুর আদালতে ক্ষমা চেয়ে ছয় মাসের মধ্যে সমুদয় অর্থ ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করে জামিন নেন। কিন্তু জামিন পেয়েই আবারও প্রতারণার আশ্রয় নেন খালেকুর। তিনি উচ্চ আদালতে গিয়ে সিএমএম আদালতে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা ওই প্রতারণার মামলা মিথ্যা দাবি করে প্রত্যাহার করার আবেদন করেন। মোস্তফা কামালের অভিযোগ, এমএ খালেকুর তার পরিবারের অন্য সদস্যদের এরই মধ্যে কানাডা পাঠিয়ে দিয়েছেন। সুযোগ বুঝে তিনি এবং তার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা পালিয়ে যেতে পারেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে এমএ খালেকুরকে একাধিকবার ফোন (০১৮১৯২৬২১১২) হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। এমনকি তার মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
"