সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে স্বামীর দেওয়া আগুনে অন্তঃসত্ত্বা সোনিয়া খাতুন (২৪) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সোনিয়া গোপালপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রী এবং রুপনাই গ্রামের আবদুল খালেকের মেয়ে। তার শরীরের প্রায় ৪০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

পুলিশ ও সোনিয়ার স্বজনরা জানান, এনায়েতপুর থানার রুপনাই চড়কাদহ গ্রামের তাঁত শ্রমিক আবদুল খালেকের মেয়ে সোনিয়ার

সঙ্গে গোপালপুর বাজার সংলগ্ন আরেক তাঁত শ্রমিক জাহাঙ্গীর হোসেনের পাঁচ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক অশান্তি চলছিল। এ নিয়ে বেশ কয়বার দেন-দরবারও হয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে জাহাঙ্গীর হোসেন কৌশলে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে এনায়েতপুর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার পাশের গলিতে এনে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে মুখ থেকে কোমর পর্যন্ত ঝলসে যায়। সোনিয়ার চিৎকারে লোকজন ছুটে এসে তাকে খাজা ইউনুছ আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাকে থানা পুলিশের সহায়তায় সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার ভোর রাতে মারা যায়।

এ ঘটনায় এনায়েতপুর থানায় মেয়ের মা নুর নাহার বাদী হয়ে জাহাঙ্গীর হোসেনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

এনায়েতপুর থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, হাসপাতালে আনবে সে সামর্থ্যও ছিল না পরিবারটির। আমরা নিজ থেকে আর্থিক সহায়তা করে অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। স্বামী জাহাঙ্গীর হোসেনকে আটকে অভিযান চলছে।

"