মনোহরগঞ্জ (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
মনোহরগঞ্জে শিশুকে ধর্ষণের পর কুপিয়ে হত্যা
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে শিমু আক্তার (১০) নামে এক শিশুকে ধর্ষণের পর দা ও বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার। নিহত শিশুটি উত্তর হাওলা ইউনিয়নের হাতিমারা গ্রামের সাইদুল হকের মেয়ে। সে হাতিমারা নূরানী মাদরাসার ছাত্রী ছিল।
পুলিশ জানায়, নিহত শিমু আক্তারের মা রাবু বেগম সিলেটে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেছেন। বাবা সাইদুল ক্ষেতে বিষ দিতে ধানের মাঠে গেছেন। বড় বোন স্কুলে। এ সময় শিশুটি ঘরে একা ছিল। তখন দুষ্কৃতকারীরা শিশু শিমুকে ধর্ষণ করে। ধর্ষকদের চিনে ফেলায় শিশুটিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তারা। খুনের ঘটনার খবর পেয়ে নাথেরপেটুয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জামির হোসেন জিয়ার লাশ উদ্ধার করেন। এই পুলিশ কর্মকর্তার মতে, প্রাথমিক তদন্তে শিশুটির গায়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে রক্ত লাগানো একটি দা ও বঁটি উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, দুষ্কৃতকারীরা মেয়েটিকে ধর্ষণ করার পর কুপিয়ে হত্যা করেছে। নিহতের বাবা সাইদুল বলেন, ‘আমার মেয়েকে কে বা কারা ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’
উত্তর হাওলা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হান্নান হিরো বলেন, ঘটনাটি আসলে খুবই হৃদয়বিদারক। আমি এই খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’ মনোহরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান জানান, শিশুটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন লাকসাম সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান ও মনোহরগঞ্জ থানা ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলাম।
"