পাবনা প্রতিনিধি
নিহত শান্তিরক্ষী রায়হানের বাড়িতে থামেনি আহাজারি
কন্যাশিশু ইতরাজের বাবার জন্য প্রতীক্ষা
মালিতে গত বুধবার নিহত শান্তিরক্ষী মোহাম্মদ রায়হান পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়নের সমাসনারী গ্রামের মোসলেম শেখের ছেলে। গতকাল রোববার তার গ্রামের বাড়িতে গেলে দেখা যায়, ঘটনার পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও বাড়িতে চলছে শোকের মাতম ও আপনজনদের আহাজারি। সাংবাদিকদের দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। সৃষ্টি হয় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের। আর দুই মাস, তারপরই বাড়ি ফিরবে বাবাÑএ প্রতীক্ষার যেন শেষ নেই আট বছরের শিশুকন্যা ইতরাজ জাহানের। এখনো তার চোখেমুখে বাবার জন্য অপেক্ষা। রায়হানের স্ত্রী সোহানা আক্তারকে জিজ্ঞাসা করতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, কী বলবো ভাই কীভাবে বলব। রায়হানের স্ত্রী সোহানা আকতার জানান, লাশ ৬ তারিখ বিকেলে অথবা ৭ তারিখে আসবে। নিহত রায়হানের দুটি কন্যাসন্তানের একটি ইতরাজ জাহান বয়স আট বছর, অন্যটি নুসরাত জাহানÑবয়স তিন বছর। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে রায়হান ছিল সবার বড়। ছোট ভাই কুয়েত প্রবাসী। ২৮ ফেব্রুয়ারি ভিডিও কলে পরিবারের সঙ্গে শেষ কথা হয় তার। প্রায় দেড় বছর হলো রায়হান মালিতে গিয়েছিলেন। আর ২-১ মাস পরেই তার আসার কথা ছিল। এখন আসছে তার লাশ।
প্রসঙ্গত, আফ্রিকার দেশ মালিতে এয়ার মাইন বিস্ফোরণে পাবনার সাঁথিয়ার রায়হানসহ ৪ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হয়। সে দেশের সময় বুধবার ২টার দিকে উত্তর মালিতে এ ঘটনা ঘটে।
"