প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
জাফর ইকবাল হত্যাচেষ্টা
অনলাইনে উসকানিমূলক মন্তব্য : কী আছে আইনে?
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার খবর অনলাইন পত্রপত্রিকায় ছড়িয়ে পড়লে সেখানে মানুষের দ্বিমুখী প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। অনেকেই যেমন হামলার নিন্দা জানিয়েছেন, সে রকম অনেকেই এই হামলার ঘটনার সমর্থন জানিয়েছেন। অনেকে জাফর ইকবালের মৃত্যু কামনা করে এই হামলাকে সাধুবাদ জানিয়ে মন্তব্য করেছেন।
এই আক্রমণ সমর্থন করে করা মন্তব্য কি উসকানিমূলক হিসেবে বিবেচনা করে মন্তব্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে? এ রকম ক্ষেত্রে মন্তব্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানান পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সাইবার ক্রাইম বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ আলিমুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘কোনো অপরাধ ঘটার পর ওই ঘটনাকে সমর্থন করে কোনো বক্তব্য দিলে যারা অপরাধ কর্মকান্ড ঘটায় তারা আরো উৎসাহ পেয়ে থাকে। ঘটনা সমর্থন করে উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়ার কারণে অপরাধ সমর্থনকারীদের আইনের আওতায় আনার সুযোগ রয়েছে।’ আলিমুজ্জামান বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন বা আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারা অনুযায়ী, যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে বা যার মাধ্যমে অপরাধ কর্মকান্ডে মানুষ উদ্বুদ্ধ হতে পারে সেটিও অপরাধ। সেই হিসেবে অনলাইনে মন্তব্য করে অপরাধ সমর্থন করাকে প্ররোচনামূলক হিসেবে বিবেচনা করা যায়। এই ধরনের মন্তব্য প্রতিহত করতে সাইবার ক্রাইম বিভাগ কাজ করে থাকে বলে জানান আলিমুজ্জামান।
কিছু বিষয়ে আমার কাউন্টারিং করে থাকি। পাশাপাশি যেসব ক্ষেত্রে খুব বেশি পরিমাণে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে, সেসব ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করে থাকি আমরা। সেটা করা হয় সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বাজায় রাখার স্বার্থে।
তবে সঠিক ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে সাইবার ক্রাইম বিভাগকে বিভিন্ন রকম চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় বলে জানান কর্মকর্তা আলিমুজ্জামান।
ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ও ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী সংস্থার সঙ্গে বিভিন্ন স্তরে কাজ করতে হয়। নিজেদের নীতিমালা বহির্ভূত হলে ফেসবুক সব সময় সব তথ্য প্রদান করে না। আলিমুজ্জামান বলেন, এই বিভাগের সক্ষমতা ধীরে ধীরে বাড়ছে। যুক্ত হচ্ছে নতুন প্রযুক্তিও।
"