পাবনা প্রতিনিধি
ইছামতি নদীতে কচুরিপানা পানিতে দুর্গন্ধ ও দূষণ
পাবনার সাঁথিয়ার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ইছামতি নদী এখন কচুরিপানায় ভরা। নদীর পানি পচে গেছে। ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ ও বিষাক্ত বাতাস। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত এক সময়ের স্রোতস্বিনী এই নদীটি এখন এলাকার মানুষের কোনো কাজে আসছে না। কচুরিপানা সরানোর কোনো উদ্যোগ নেই। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন তাদের এই সমস্যা দেখার কেউ নেই।
সাঁথিয়া পৌর সদরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পাউবোর প্রধান সেচখাল ঐতিহ্যবাহী ইছামতি নদীটির এখন চরম বেহাল দশা। দেখলে এটিকে এখন আর নদীই মনে হয় না। অথচ এক সময় বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই নদীর ওপর দিয়ে শাহজাদপুর কাচারিবাড়ি যেতেন জমিদারি দেখাশুনা করার জন্য।
পাবনা সেচ ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সাঁথিয়া উপজেলার মাধপুর থেকে বেড়া পাম্প স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ৪২ কিলোমিটার এই প্রধান সেচ খালের বেশির ভাগ অংশই কচুরিপানায় ছেয়ে থাকে সারা বছর। বেশ কয়েক বছর কচুরিপানা অপসারণ না করায় এর ওপর দিয়ে অনেক লতাপাতাসহ বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ছড়িয়ে পড়েছে পুরা নদীতে। দেখে মনে হয়, বহু পুরোনো কোনো পচা, ডোবা, নালা। দেখে চেনাই যায় না ইছামতি নামের এ নদীটি। দুর্গন্ধ ও দূষিত হওয়ার কারণে এ নদীর পানি গোসল থেকে শুরু করে গৃহস্থালি কাজের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এই নদীর পানি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বেশ কয়েক বছর ধরে। মানুষ এ নদীর পানিতে আগে অজু, গোসল, গরু-ছাগল ঝাঁপানো কিংবা গৃহস্থালির অন্যান্য কাজ করত। গত ১০ বছর ধরে এ নদীতে অতিরিক্ত কচুরিপানা থাকার কারণে এখন আর তা সম্ভব হচ্ছে না। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অতিসত্বর এই কচুরিপানার অপসারণের জোর দাবি জানিয়েছেন এই নদীর দুই পাড়ের মানুষ। ।
সাঁথিয়া স্বাস্থ্য ও পারিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোজাফ্ফর হোসেন জানান, এ কচুরিপানার কারণে নদীর পানি পচা, দুর্গন্ধ বা দূষিত হয়ে থাকলে তা থেকে ডায়রিয়া ও চর্মরোগসহ শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হামিদ জানান, প্রধান সেচ খাল ইছামতি নদীর কচুরিপানা অপসারণে সরকারি কোনো তহবিল নেই, সে কারণে আমরা পানা সরাতে পারছি না।
"