আদালত প্রতিবেদক

  ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮

গ্রাম পুলিশের চাকরি রাজস্ব খাতে নিতে হাইকোর্টের রুল

গ্রাম পুলিশের চাকরি রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং চতুর্থ শ্রেণির স্কেলের সমমর্যাদায় বেতন কেন দেওয়া হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। ৭০ জন গ্রাম পুলিশের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এ রুল জারি করেন। চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার, অর্থ, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, আইন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ৩৪ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. নওশের আলী মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মোতাহার হোসেন সাজু।

পরে নওশের আলী সাংবাদিকদের বলেন, গত বছরের ৩ ডিসেম্বর বিভিন্ন জেলার ৫৫ জন গ্রাম পুলিশের রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেছিলন। একইভাবে রাজশাহী, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, গাইবান্ধাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার আরও ৭০ জন গ্রাম পুলিশ ও দফাদার এ রিট আবেদনটি করেন। আদালত এ বিষয়ে রুল জারি করেছেন। এখন দুইটি রিটের রুলই এক সঙ্গে শুনানি হবে।

দফাদার ও মহলদার মিলে সারা দেশে গ্রাম পুলিশের সংখ্যা প্রায় ৪৬ হাজার। তাদের মধ্যে দফাদারদের মাসিক বেতন ৩ হাজার ৪০০ টাকা। আর মহলদারদের বেতন ৩ হাজার টাকা।

গ্রাম পুলিশের চাকরি সরকারের রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় এই বেতনের অর্ধেক দেয় ইউনিয়ন পরিষদ, বাকিটা যায় সরকারের কোষাগার থেকে। ব্রিটিশ আমল থেকে এ বাহিনী বিভিন্ন আইনের অধীনে কাজ করে আসছে। সর্বশেষ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ সালের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ আইনের অধীনে ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) গ্রাম পুলিশ বাহিনীর গঠন, প্রশিক্ষণ, শৃঙ্খলা ও চাকরির শর্তাবলি সম্পর্কিত বিধিমালা তৈরি করা হয়।

আইনজীবীদের দাবি ব্রিটিশ আমল থেকে এ বাহিনী বিভিন্ন আইনের অধীনে কাজ করে আসছে। সর্বশেষ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ সালের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ আইনের অধীনে ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) গ্রাম পুলিশ বাহিনীর গঠন, প্রশিক্ষণ ও চাকরির শর্তাবলি সম্পর্কিত বিধিমালা তৈরি করা হয়। কিন্তু এ বিধিতে তাদের কোনো শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়নি। এদিকে এক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গ্রাম পুলিশদের চতুর্থ শ্রেণির স্কেল নির্ধারণে অর্থ বিভাগকে চিঠি দেন। কিন্তু আজও এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

আইনজীবীরা আরও বলেন, একজন ভিক্ষুকও দৈনিক ৫০০ টাকা আয় করে। কিন্তু একজন গ্রাম পুলিশ ২৪ ঘণ্টা কাজ করে দৈনিক মাত্র ৩০০ টাকা বেতন পান। আবার তাদের নিয়োগ দেয় সরকার। কিন্তু বিধিমালায় তাদের কোনো শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়নি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist