চবি প্রতিনিধি
চবির ৮ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতিতে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় ছয় শিক্ষার্থীকে এবং বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষায় জালিয়াতি করায় দুজনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল বুধবার ‘হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটি’র এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।
এক বছরের জন্য বহিষ্কৃতরা হলেন ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রায়হানুল হক ও মো. শহীদুল্লাহ, মার্কেটিং বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের ইশতিয়াক আহমেদ সৌরভ, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম নাজমুল। একই অভিযোগে আরবি বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাদ্দাম হোসেন এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জুলকার নাইমকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
এ ছাড়া অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষ ফাইনাল পরীক্ষায় এক বন্ধুর পরীক্ষায় অন্য বন্ধু অংশ নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিভাগটির ২০১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম এবং সাইদুল ইসলাম দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
চবির সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র সমকালকে বলেন, ভর্তি জালিয়াতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে এবং বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় দুজনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির’ জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেন।
সূত্র জানায়, গত বছর ২৭ অক্টোবর চবিতে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে জালিয়াতির অভিযোগে রায়হানুল হক ও মো. শহীদুল্লাহকে ক্যাম্পাসের একটি কটেজ থেকে আটক করে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকজন ভর্তি পরীক্ষার্থীর প্রবেশ পত্র ও একাডেমিক সনদ পাওয়া যায়।
এছাড়া একই অভিযোগে গত বছর ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে নগরীর বায়জিদ থেকে অত্যাধুনিক ডিভাইসসহ আটক করা হয় ইশতিয়াক এবং নাজমুলকে। সে সময় এ চারজনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এছাড়া এক শিক্ষার্থীকে চবিতে ভর্তি করিয়ে দিতে সাড়ে তিনলাখ টাকা এবং একটি আইফোনের চুক্তি করেন সাদ্দাম ও জুলকার। জাহিদুল ইসলাম জিসান নামের ওই শিক্ষার্থী গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কেটিং বিভাগে ক্লাস করতে এলে ধরা পড়ে যান। তার তথ্যের ভিত্তিতেই সাদ্দাম এবং নাইম এর কথা জানতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বহিষ্কৃতদের মধ্যে ইশতিয়াক আহমেদ সৌরভ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। তিনি ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সহসম্পাদক।
"