নিজস্ব প্রতিবেদক
নির্বাচন ঘিরে কালো টাকার ছড়াছড়ি হবে : অর্থমন্ত্রী
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে বাজারে যথেষ্ট কালো টাকা আসতে পারে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, নির্বাচনী বছর হওয়ায় এবার বাজারে টাকা-পয়সার বেশি ছড়াছড়ি হবে। গতকাল রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রূপালী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায়িক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আতাউর রহমান প্রধানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ইউনুসুর রহমান, রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেনসহ ব্যাংকের পরিচালকরা। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে। তারা বলেন, ব্যাংকিং ব্যবস্থা দুর্বল। তারা ভুলে যান আমরা কোন অবস্থা থেকে ব্যাংকিং ব্যবস্থা শুরু করেছি। ব্যাংকিং ব্যবস্থা যখন শুরু হলো তখন সব থেকে বড় সমস্যা ছিল ডিফল্ট (খেলাপি ঋণ) এবং ডিফল্ট রেট। অর্ধেকের বেশি ডিফল্ট রেট ছিল। সেখান থেকে সরকারি ব্যাংকগুলো অনেক উন্নতি করেছে। এ ছাড়াও ব্যাংকিং সেক্টরে অনেক অসুবিধা ছিল। ফরেন এক্সেঞ্জের রেট পরিবর্তনের ফলে ব্যাংক ব্যবস্থা দারুণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রতি ডলার ৪ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে এক টানে সাড়ে ৭ টাকা, তারপর ১৫ টাকা হওয়ায় ব্যাংকগুলো ঝামেলায় পড়েছিল।
মন্ত্রী বলেন, ব্যাংকিং খাত এভাবে আস্তে আস্তে প্রসার লাভ করেছে এবং বর্তমানে ব্যাংকিং খাতের অবস্থা খুব খারাপ নয়, মোটামুটি ভালো। ব্যাংকিং খাত দুর্বল থাকলে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হতো না। এদিকে দেশের অধিকাংশ বেসরকারি ব্যাংকের এডি র্যাশিও (আমানত ও ঋণ বিতরণের হার) নির্ধারিত সীমা (সাধারণ ব্যাংকের জন্য ৮৫ ও ইসলামী ব্যাংকের জন্য ৯০) অতিক্রম করেছে। ফলে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে নগদ তারল্যের তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এনিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রোববারের অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রীও জানালেন সে কথা।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ব্যাংকিং খাতের আমানত ও ঋণের হার কিছুটা বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকও বিষয়টি নিয়ে কিছুটা চিন্তিত। কেননা এ বছর নির্বাচনের বছর হওয়ায় টাকা-পয়সার ছড়াছড়ি একটু বেশি হবে। কালো টাকাও বাজারে যথেষ্ট পরিমাণে বাড়বে। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক চিন্তিত। তবে র্যাশিও নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।’
"