কূটনৈতিক প্রতিবেদক
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন
‘বাংলাদেশ ঠান্ডা মাথায় এগোচ্ছে’
রোহিঙ্গাদের ফেরাতে খুব ঠান্ডা মাথায় এগোচ্ছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ চুক্তি চূড়ান্ত হয় বাংলাদেশ-মিয়ানমারের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে। এর পর বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ফেরাতে আমরা বরাবরই আশাবাদী। বিষয়টা যেহেতু জটিল, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট আছে এবং সমস্যার ব্যাপ্তি অনেক বড়। গত সোমবার ৯ লাখ ৯৯ হাজার রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন হয়েছে। এই সংখ্যাই বলে সংকট কত বড়।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট চুক্তিতে বলা হয়েছে প্রথমে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের একটি অস্থায়ী ক্যাম্পে যাবে, এরপর দ্রুততম সময়ে নিজ নিজ গ্রামে তাদের পুনর্বাসন করা হবে। অবশ্যই তা হতে হবে স্বেচ্ছাই নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবর্তন। শিগগিরই তারা ফিরে যাবে। ফেরাতে দুই বছরের মতো সময় লাগবে।
মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে গত সোমবার টানা ১৩ ঘণ্টার বৈঠকের পর গতকাল সকালে আবার বৈঠকে বসেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের (জেডব্লিউজি) এ বৈঠকে ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট চুক্তিটি চূড়ান্ত রূপ পায়। এর মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য সরকারি পর্যায়ের কাজটি সম্পন্ন হলো।
পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক মিয়ানমারে সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য আমরা সফলভাবে ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট চূড়ান্ত করে ফেলেছি। সেই সঙ্গে যেসব রোহিঙ্গা ফেরত যাবেন, তাদের জন্য একটি ফরমের রূপও চূড়ান্ত করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘দুই পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে একটি ভারসাম্যপূর্ণ ফলাফলে পৌঁছেছি। এখন দুই পক্ষ যদি সঠিক পথে কাজ করে, তবে স্থায়ীভাবে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের কাজ শুরু করা যাবে বলে আশা করা যায়।’
"