নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৬ জানুয়ারি, ২০১৮

বাজারে আসছে ‘পাটের পলিথিন ও চা’

প্লাস্টিক ব্যাগ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিবেচনায় এনে দেশে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে সরকার। প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পাটের পলিথিন ব্যাগ নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজেএমসি)। ঢাকা আন্তজার্তিক বাণিজ্য মেলায় সোনালি আঁশের জনপ্রিয়তা বাড়াতে স্বাস্থ্যসম্মত পাট পাতা থেকে তৈরি চা বিক্রি ও প্রদর্শন করা হচ্ছে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় পাটের তৈরি পলিথিন ‘সোনালি ব্যাগ’ শিগগির বাণিজ্যিকভাবে বাজারে ছাড়া হবে। বাণিজ্য মেলার বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখা যায়, পাটের পলিথিন ব্যাগ ও চাÑ এ দুটো পণ্য দর্শনার্থীদের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। মেলায় আগত দর্শনার্থীরা ব্যাগ নেড়েচেড়ে দেখছেন। পাট দিয়ে যে পলিথিন তৈরি হয়, তা দেখে বিস্ময়ও প্রকাশ করেছেন অনেকে। একই বিস্ময় পাট পাতা থেকে তৈরি চা নিয়েও। পাট থেকে পলিথিন ব্যাগ উদ্ভাবন করেন পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ জুটমিল করপোরেশনের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ড. মোবারক আহমদ খান।

পরিবেশবান্ধব ব্যাগটির ভবিষ্যৎ বাজার সম্ভাবনা নিয়ে কথা হয় বিজেএমসির বিপণন ব্যবস্থাপক কাজী কামরুল করিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, পাটের সেলুলোজ থেকে তৈরি ব্যাগটি সম্পূর্ণ পচনশীল ও পরিবেশবান্ধব। এ পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করে ফেলে দিলে পাঁচ ঘণ্টা পর ধীরে ধীরে গলতে শুরু করে। ৫-৬ মাসের মধ্যে মাটিতে মিশে যায়। প্লাস্টিকের পলিথিনের চেয়ে অধিক কার্যকর এ ব্যাগে দেড়গুণ ভারি দ্রব্য বহন করা যাবে। খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ করাও যাবে।

ক্ষুদ্র পরিসরে ‘সোনালি ব্যাগ’ উৎপাদন শুরু হয়েছে জানিয়ে কাজী কামরুল করিম বলেন, তবে এখনো তা বাজারে বাণিজ্যিকভাবে আনা হয়নি। এ ব্যাগ বিদেশে রফতানির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে রফতানির কথাবার্তা চলছে। প্রথম দিকে ব্যাগের দামটা বেশি হবে।

বাণিজ্য মেলার এ প্যাভিলিয়নে প্রদর্শন ও বিক্রি করা হচ্ছে পাটের পাতা থেকে তৈরি চা। এ চা তৈরি হয় ফুল আসার আগেই পাটগাছ থেকে পাতা সংগ্রহ করে। সূর্যের আলোয় শুকিয়ে গুঁড়া করে প্যাকেটজাত করা হয়। অনেকটা গ্রিন টি-এর স্বাদ এ চায়ের।

পাটের চায়ে মধু বা চিনি মিশিয়ে পান করা যায়। মধু বা চিনি ছাড়াও এ চা পান করা যাবে। পাট শাকের সব ভেষজ গুণ পাট পাতা থেকে তৈরি করা চায়ে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। মেলায় এই চায়ের প্রতি প্যাকেটের মূল্য ১০০ টাকা রাখা হচ্ছে।

কাজী কামরুল বলেন, পাটের পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারে পরিবেশ দূষণ, ভূমির উর্বরতা হ্রাস, শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টিসহ প্রভৃতি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। তেমনি পাটের চা মানুষের সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করবে। পাশাপাশি সোনালি আঁশের এ শিল্পকে চাঙ্গা করতেও সহায়তা করবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist