মহসীন শেখ, কক্সবাজার

  ১৬ জানুয়ারি, ২০১৮

মহেশখালী থানা

চাঁদা না দিলে আটকে রাখে পুলিশ!

চাঁদা না দিলে মৎস্যঘেরে হানা দিয়ে নিরীহ লোকজনকে ধরে এনে থানায় আটকে রাখা হয়। এর পরও চাঁদা না দিলে মিথ্যা মামলায় চালান দেওয়া হয়। আবার এসব বিষয়ে মুখ খুললেই নানাভাবে হয়রানি করে পুলিশÑএমন অভিযোগ কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।

গত রোববার বিকেলে চাঁদার দাবিতে মহেশখালীর বগাচতর এলাকা থেকে তিনজন লবণচাষিকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। এদের মধ্যে কুতুবদিয়া আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নুরুল ইসলামের ঘের থেকেও এক চাষিকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে জানান, মহেশখালীর বিভিন্ন ঘের থেকে দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত চাঁদা আদায় করেন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। চাঁদা না দিলে মৎস্যঘেরে হানা দিয়ে নিরীহ লোকজনকে ধরে এনে থানায় আটকে রাখা হয়। এর পরও চাঁদা না দিলে মিথ্যা মামলায় চালান দেওয়া হয়। মহেশখালীর বগাচতর এলাকায় মৎস্যঘেরগুলোতে বর্তমান মওসুমে লবণের চাষ শুরু হয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকটি ঘের থেকে চাঁদা দাবি করেন ওসি। কিন্তু চাঁদা না দেওয়ায় গত রোববার বিকেলে তিন লবণচাষিকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। এদের মধ্যে আবুল খায়েরের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন, জোনাব আলীর ছেলে সরওয়ার কামাল ফেরু এবং সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা ও চেয়ারম্যান মরহুম নুরুল ইসলামের ওয়ারিশদের চাষা ছলিম উল্লাহকে থানায় ধরে নিয়ে আটকে রাখা হয়। তবে রাতে মোটা অঙ্কের টাকার দফারফার পর সরওয়ার কামাল ফেরুকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

মোস্তাক আহমদ বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়া টাকা চেয়ে চাপ দিচ্ছেন ওসি। টাকা না দেওয়ায় লবণের মাঠ থেকে আমার চাষাকে থানায় ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। টাকা না দিলে মামলা দিয়ে চালান দেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন ওসি।’

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মহেশখালী ওসি প্রদীপ কুমার দাশ তিন চাষিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এসব থানার অভ্যন্তরীণ বিষয়। সাংবাদিকদের এসব বিষয়ে বলা যাবে না।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist