মহসীন শেখ, কক্সবাজার

  ১৫ জানুয়ারি, ২০১৮

বন ধ্বংস : রক্ষক যেখানে ভক্ষক!

কক্সবাজারে ২০ একর সরকারি বাগান কেটে সেখানে নিজস্ব বাগান ও মৎস্য ঘের তৈরি করেছেন তিন ব্যক্তি। বন কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক মোটা অঙ্কের উৎকোচ নিয়ে সরকারি বাগান দখলে সহায়তা করেছেন। এই দাবি স্থানীয়দের, তারা মনে করেন রক্ষক হয়ে ভক্ষক সেজেছেন এই সরকারি কর্মকর্তা। তবে এই বন কর্মকর্তা বলেছেন তিনি কোনো অনিয়ম ও ঘুষ গ্রহণের সঙ্গে জড়িত নন। কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের খুটাখালি বন বিটের হরিণাঝিরি ও দয়ালহরি এলাকায় এই বনভূমি দখল করা হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, খুটাখালি বন বিটের হরিণাঝিরি এলাকায় তৌহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বন বিভাগের সামাজিক বনায়নের প্রায় পাঁচ একরের বাগান কেটে নিয়েছেন। এসব বাগান কেটে চারদিকে বেড়া দিয়ে তিনি সেখানে গড়ে তুলেছেন নিজস্ব বাগান। আর উচ্ছেদ না করতে ফরেস্টার আবদুর রাজ্জাক তার কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন ৫০ হাজার টাকা। ওই এলাকার পাশেই ওবায়দুল নামের আরেক ব্যক্তি ৮-১০ একরের মতো বনভূমি দখল করে তাতে মৎস্য ঘের গড়ে তুলেছেন। সেখান থেকেও মোটা অঙ্কের উৎকোচ নিয়েছেন আবদুর রাজ্জাক। এমনকি দয়ালহরি এলাকার উত্তর পাশে সুরেশ নামের আরেক ব্যক্তি ৫-৬ একরের সরকারি আগর বাগান কেটে বনভূমি দখলে নিয়েছেন। তার কাছ থেকে আবদুর রাজ্জাক দুই লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে। এভাবে পুরো খুটাখালি বন বিটের বনভূমি দখলবাজদের সঙ্গে যোগসাজশে দেদার বিক্রি করে দিচ্ছেন খোদ বন কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক। শুধু বনভূমিই নয়, সরকারের সৃজিত বাগান, গাছপালা থেকে শুরু করে মাটি-বালি পর্যন্ত লুট করে বিক্রি করে দিতে সহায়তা রয়েছে ফরেস্টার আবদুর রাজ্জাকের। বিনিময়ে লাখ লাখ টাকা উৎকোচ নেন তিনি। আর ওই টাকার একটি অংশ তিনি ব্যয় করেন লোভনীয় স্থানে পোস্টিং এবং তার অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ঢাকা দিতে। আর এভাবে তিনি বছরের পর বছর ধরে একই স্থানে চাকরি করছেন। শুধু বিট কর্মকর্তাই নয়, একই সঙ্গে রেঞ্জ কর্মকর্তার দায়িত্বও পালন করেন তিনি। যার কারণে শ শ অভিযোগ থাকলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। এসব অভিযোগ সর্ম্পকে জানতে চাইলে খুটাখালি বন বিটের বনবিট কর্মকর্তা ও ফুলছড়ি রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার এলাকায় কোনো ধরনের সামাজিক বনায়ন ও আগর বাগান নেই। এছাড়া এখানে কেউ মৎস্য ঘেরও করেনি। হরিণাঝিরিতে দখল উচ্ছেদের বিষয়ে আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist