নিজস্ব প্রতিবেদক
তেজগাঁওয়ে অভিযান
‘গুলিতেই তিন জঙ্গির মৃত্যু’
গুলির আঘাতেই রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়ার রুবী ভিলায় তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আ ম সেলিম রেজা। গতকাল শনিবার বিকেল ৫টায় তিন জঙ্গির ময়নাতদন্ত শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। ডা. সেলিম রেজা বলেন, ‘আমরা তেজগাঁও থানা থেকে পাঠানো তিনটি লাশ পেয়েছি। তিনজনের শরীরেই বুলেটের চিহ্ন আছে। গুলিতেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সুরতহাল প্রতিবেদনে যে আঘাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, আমরা সেই আঘাতগুলো পেয়েছি। একজনের শরীরে একটি বুলেট পাওয়া গেছে। তাদের প্রত্যেকের শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীরের সামনে ও পেছনের দিকে এসব আঘাত রয়েছে। সাধারণত বোমা বিস্ফোরিত হলে শরীরে যে ধরনের আঘাত পাওয়া যায়, তাদের শরীরে সে ধরনের কোনো বিস্ফোরণের নমুনা পাওয়া যায়নি। তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিচ্ছিন্ন হয়নি।’
এর আগে, শুক্রবার লাশ তিনটির সুরতহাল করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ তিনটি সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেল ৩টা ২৭ মিনিটে হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সেলিম রেজা ময়নাতদন্ত শুরু করেন।
বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে পশ্চিম নাখালপাড়ার ১৩/১ নম্বর রুবী ভিলায় অভিযান শুরু করে র্যাব। ওই বাড়ির পঞ্চম তলায় কয়েকজন জঙ্গি রয়েছেÑ এমন খবরের ভিত্তিতে বাড়িটিতে অভিযান শুরু করে র্যাব। এক পর্যায়ে বাড়ির ভেতর থেকে গুলিবর্ষণ ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হলে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ভেতর থেকে তিন জঙ্গির লাশ উদ্ধার করা হয়।
ছয়তলা বাড়িটির মালিক শাহ মোহাম্মদ সাব্বির হোসেনের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে। র্যাব জানিয়েছে, তিনি বিমান বাহিনীর ফ্লাইট অফিসার হিসেবে কাজ করতেন। তার বাড়ির পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলা মেস হিসেবে ভাড়া দেওয়া ছিল। জানা গেছে, ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে বাসাটি ভাড়া নিয়েছিল জঙ্গিরা। এর আগে, ২০১৩, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে আরো তিনবার অভিযান চালানো হয়েছিল ওই বাড়িতে। আগের অভিযানগুলোতে জামায়াত-শিবিরের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল।
"