আন্তর্জাতিক ডেস্ক
নাসার উড়ন্ত দুরবিনে নক্ষত্র জন্মের শুলুক-সন্ধান
আমাদের ছায়াপথে সূর্যের মতো যে অসংখ্য নক্ষত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ধারণা করা হয় ঘনীভূত মহাজাগতিক গ্যাস আর ধূলিকণার সমবায়ে এগুলো জন্ম নিয়েছে। কিন্তু এর পুরো প্রক্রিয়াটির পরিপূর্ণ শুলুক-সন্ধানে মহাকাশবিজ্ঞানীরা ক্রমাগত অন্বেষণ চালিয়ে যাচ্ছেন।
আর এ দিকটায় গুরুত্বপূর্ণ আলো ফেলেছে নাসার নতুন এক দুরবিন। যাকে ডাকা হচ্ছে ‘উড়ন্ত দুরবিন’ বা ‘ফ্লাইং টেলেস্কোপ’ নামে। এই দুরবিন স্থাপন করা হয়েছে এক ‘ফ্লাইং অবজারভেটরি’ বা ‘উড়ন্ত মানমন্দিরে’। এই উড়ন্ত মানমন্দির আসলে নতুনভাবে কাঠামো বদল করা এক অতিকায় জাম্বো জেট। যাকে পরে বানানো হয়েছে মানমন্দির। নাসার উড়ন্ত দুরবিনে নক্ষত্র-জন্মের শুলুক-সন্ধান উড়ন্ত এই দুরবিনে নক্ষত্রদের অনেক ভেতরকার এমন সব ছবি পাওয়া গেছে, যা আগে আর কখনোই সাধারণ দুরবিনে ধরা পড়েনি। এসব ছবি নক্ষত্রের জন্ম-রহস্যের কিনারা করতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
দুরবিনটি গতানুগতিক দুরবিনের মতো কোনো একটি জায়গায় স্থির নয়, বরং এটি সদা চলমান ও উড়ন্ত। কেননা এটি স্থাপন করা হয়েছে একটি উড়ন্ত জাম্বো জেটে।
সোফিয়া অবজারভেটরির হিসেব ও ধারণামতে, নক্ষত্রের জন্মের জন্য অত্যাবশ্যক হচ্ছে চুম্বক-ক্ষেত্র বা চৌম্বকীয় বলয়। সোফিয়া অবজারভেটরিতে গবেষণারত মহাকাশবিজ্ঞানীদের একজন হচ্ছেন ফাবিও সান্তোস। ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের নরর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপকের মতে, আধুনিক জ্যোতির্বিদ্যার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি হচ্ছে, গ্রহ ও নক্ষত্রগুলো কীভাবে জন্ম নিল বা গঠিত হলো তা বুঝতে পারা। আমরা জানি যে, মিল্কিওয়ে বা ‘আকাশগঙ্গা’য় যে অপরিমেয় ধূলিকণা ও আণব গ্যাস অতিকায় মেঘমালা রূপে বিরাজমান, তাই এক সময় ঘনীভূত হতে হতে গ্রহ ও নক্ষত্রম-ল হিসেবে আবির্ভূত হয়। বিমান এ ব্যাপারে বেসিক ধারণাটি হচ্ছে, এই অতিকায় গ্যাসীয় মেঘমালা নিজের ভর ও অভিকর্ষের কারণে সংকুচিত ও ঘনীভূত হতে থাকে। আর এভাবে তারা ঘন থেকে আরো ঘন হতে থাকে। এক পর্যায়ে সেসব গ্যাসীয় পি-ের গুচ্ছ বা ঝাড়ের আকার নেয়। এভাবে এই পি-াকার গ্যাসীয় রূপটা হয়ে ওঠে কোর। গ্যাস ও আণব ধূলিকণার অতি-ঘনীভূত ‘কোর’ থেকেই জন্ম নেয় অসংখ্য নক্ষত্র শিশু। তবে এই পক্রিয়াটিকে ‘খুবই জটিল’ বলে উল্লেখ করেন ড. সান্তোস।
"