সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
ছাত্রলীগ কর্মীকে গুলি করে হত্যা আটক ২
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর দেওটি বাজারে গত মঙ্গলবার রাতে শাকিল নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এই শাকিল দেওটি ইউনিয়নের আমিরাবাদ গ্রামের লদের বাড়ির আবদুল হাসেম খোকা মিয়ার পুত্র। হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ মনির হোসেন ও সাইফুল ইসলামকে দুটি দেশে তৈরি সর্টগান এবং একটি ছোরাসহ আটক করে। পুলিশ নিহতের উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে র্যাব ও অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। স্থানীয়
ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন শাকিল জানান, মঙ্গলবার বিকেলে আমিরাবাদ গ্রামের মো. বাবুলের পুত্র লিটন বেপরোয়া গতিতে মোটারসাইকেল চালিয়ে এসে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একই গ্রামের লোকমান হোসেন মিলনের ছেলে শাহেদকে চাপা দেয়। এ ঘটনায় শাহেদ লোকজন নিয়ে লিটনকে জিজ্ঞসাবাদ করতে গেলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় র্লিটন শাহেদকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এ ঘটনার জের ধরে সন্ধ্যার দিকে লিটন পাঁচ-ছয়জন সন্ত্রাসীকে ফোন করে ডেকে এনে দেওটি বাজারে জড়ো করে মহড়া চালায়। বিষয়টি বাজারের লোকজন স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবহিত করলে তিনি ঢাকা থেকে ফোনের মাধ্যেমে উভয় পরিবারের লোক জনকে শান্ত থাকার কথা বলেন এবং পরবর্তিতে বিষয়টি মীমাংসা করার আশ^াস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
নিহতের বন্ধু জাহিদ আলম অভি জানান, মঙ্গলবার সারাদিন স্থানীয় নূরানী মাদরাসায় ভতির্র মাইকিং করে রাতে দেওটি বাজারে নাস্তা খেতে নামে। এ সময় বিষয়টি নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে লিটনের নেতৃত্বে সাত-আটজন যুবকের মধ্য থেকে কেউ শাকিলকে গুলি করে। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম ঘটনার সতত্য স্বীকার করে জানান, হত্যাকা-ে ব্যবহৃত অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে।
"