নিজস্ব প্রতিবেদক
আলোচনা সভায় বক্তারা
বঙ্গবন্ধু ফিরে না এলে দেশের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ত
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সুসংহত করেছে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন; তিনি ফিরে না এলে দেশের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ত বলে মনে করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে গতকাল মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’ উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র আয়োজিত ‘সেদিনের স্বপ্ন ও আজকের বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আলোচনায় শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন বক্তারা। সভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।
তারা বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে জাতীয় ঐক্যের জন্য বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অপরিহার্য ছিল।
বঙ্গবন্ধু ফিরে না এলে দেশের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ত, স্বাধীনতা বিরোধীরা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করত।
সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবুল মকসুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরা না পর্যন্ত দেশের মানুষ উদ্বেগে ছিল। সে সময় দেশে গৃহযুদ্ধ লেগে যেতে পারত। মুক্তিযুদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পণ, ভারতীয় সেনাদের ফিরে যাওয়া ও বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি আদায় অনিশ্চিত হতো বঙ্গবন্ধু না এলে। সে সময়ের বাস্তবতা স্মরণ করে তিনি বলেন,‘বঙ্গবন্ধু ফিরে না এলে স্বাধীন বাংলাদেশের পথ চলা কঠিন হয়ে পড়ত। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি অনেক দেশ গড়িমসি করছিল। কিন্তু দেখা গেল তিনি ফেরার মাত্র তিন দিনের মাথায় ১০০’র ও বেশি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।’
ষড়যন্ত্র তখনও ছিল মন্তব্য করে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, আমরা তখনো দেখেছি যুক্তরাষ্ট্র, চীন, সৌদি আরবের মতো রাষ্ট্রগুলো দীর্ঘদিন থেকে আশ্বাস দিয়ে আসলেও বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। তারা কখন স্বীকৃতি দিল? যখন বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হলো। তখনো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে, এখনো হচ্ছে জানিয়ে ৮, ৯ ও ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালনের দাবি জানান তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, ‘মুক্তির সংগ্রাম বলতে অর্থনৈতিক মুক্তির কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে কথা বলেন। এসব বিবেচনায় তার প্রত্যাবর্তন দেশের ইতিতাসে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মহিউদ্দিন আহমদ, প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মীর শাহাবুদ্দিন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কমান্ডার মো. শাহজাহান মৃধা বেনু।
"